রাজনীতির আগুনে পুড়ে ছারখার হয়েছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। রাতারাতি অগ্নিসংযোগে পুড়ে ছাই ৭-৮টি বাড়ি। প্রাণ চলে গেল অনেকগুলি মানুষের। খুব প্রত্যাশিতভাবেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
প্রধানমন্ত্রী এবার বগটুই হত্যালীলা নিয়ে এবার সরব। নরেন্দ্র মোদি বলেন ”আশা করি বাংলার সরকার দোষীদের শাস্তি দেবে। যারা এই হত্যালীলা ঘটিয়েছে, তাদের যেন বাংলার মানুষ ক্ষমা না করে। অপরাধীদের দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে সাহায্য করবে কেন্দ্র”
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ভাদু শেখের পরিবারের মুড়ি মুড়কির মতো বোমার শব্দে, আপনজন হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে সোমবার রাত কেটেছিল । যার প্রতিবাদে ওই রাতেই একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ভাদু শেখের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন: রামপুরহাট কা’ণ্ডে কি ঘটেছে? “জানেনই না কিছু” বুদ্ধিজীবীদের ম’ন্ত’ব্যে হ’ত’বা’ক রাজ্যবাসী
এখানেই শেষ নয়; প্রতিহিংসার বসে দুই শিশু সহ ১০ জন গ্রামবাসীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় কার্যত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।
আপনজন হারানোর আর্তনাদ ,আতঙ্কের ছবি মঙ্গলবারও গ্রামবাসীদের চোখে মুখে ছিল স্পষ্ট। এরই মাঝে আবার একটি রাত কিভাবে গ্রামবাসীরা পার করবেন সেই নিয়েই যেন দুশ্চিন্তা কাটছে না।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। গ্রামে পুলিশি টহল থাকলেও আতঙ্ক যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না। তাই তাদের মনে এখন নানা প্রশ্ন!
#WATCH मैं पश्चिम बंगाल के बीरभूम में हुई हिंसक वारदात पर दुख व्यक्त करता हूं, अपनी संवेदना व्यक्त करता हूं। मैं आशा करता हूं कि राज्य सरकार, बंगाल की महान धरती पर ऐसा जघन्य पाप करने वालों को ज़रूर सजा दिलवाएगी: प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी pic.twitter.com/ntzDUMFl4Z
— ANI_HindiNews (@AHindinews) March 23, 2022
আবার গ্রামে আক্রমণ হবে না তো? আবারও কোনও মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে না তো? আবারও বোমার শব্দ কেঁপে উঠবে না তো বগটুই গ্রাম?
গণহত্যার ঘটনার পর থেকেই গ্রাম এক প্রকার পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আবারও একটি রাত কতটা নির্বিঘ্নে পেরোবে তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা । তারা বলছেন, যে যাওয়ার সে চলে গিয়েছে৷ এবার এই প্রতিহিংসা অবিলম্বে বন্ধ হোক।