নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অসম সাহসী ব্যক্তিত্ব যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য রণক্ষেত্রে নিজের প্রাণ দিয়েছেন। যদিও তার মৃত্যু নিয়ে সাধারণের মনে রয়েছে বহু কৌতুহল, বহু জল্পনা। অনেকে মানতেই চান না যে 1945 সালে বিমান দুর্ঘটনাতে নেতাজির মৃত্যু হয়ে থাকবে। সাধারণের বিশ্বাস, নেতাজির মৃত্যু সংক্রান্ত গোপন তথ্য আজও প্রকাশ করেনি সরকার।
তবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দাবি করছেন যে নেতাজির অস্থি সুরক্ষিত আছে জাপানের একটি মন্দিরে। গত শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্দো জাপান সামুরাই সেন্টারে আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন প্রাক্তন সাংসদ কথা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাসাগরীয় ইতিহাস বিষয়ক গার্ডিনার চেয়ার সুগত বসু। তিনি দাবি করেন 1990 দশকে তৎকালীন নরসিমহা রাও এর সরকার নেতাজির অস্থি জাপান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল।
তিনি দাবি করেন যে গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য জেনে এই পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় সরকার। রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে নেতাজির অস্থি ভারতে আনা হলে কলকাতায় দাঙ্গা হবে। এরপরে আর নেতাজির অস্থি বিদেশের মাটিতে ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে আনার সাহস পায়নি সরকার। সুগত বসু দাবি করেছেন নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এই অর্থহীন বিতর্ক এবার শেষ হওয়া উচিত।
লেখক তথা নেতাজীকে নিয়ে গবেষণারত আশিষ রায় জাপানের টোকিও শহরের বৌদ্ধমঠ রেনকোজি মন্দির থেকে সুভাষচন্দ্র বসুর অস্থি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। তার মতে আইনত এই অস্থির সুভাষচন্দ্র বসুর মেয়ে অনিতা বসু পাফের পাওয়া উচিত। অনিতা বসু পাফ অর্থশাস্ত্রের প্রফেসর, যিনি বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন।