সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অন্য জীবজন্তুর অ’বৈ’ধ কা’র’বা’র এবার শেষ! এবার স্মাগলিং হ’চ্ছে রোমশ মাকড়সা

এতদিন চোরা শিকারিদের লোভের বলি হতে হয়েছে বহু চিতা, সাপ, গন্ডার, হরিণকে। এবার সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলো মাকড়সা। সারা দেহ রোমে ভর্তি ভয়ঙ্কর দর্শন এই মাকড়সাগুলি এসেছে পোল্যান্ড থেকে। একেবারে পার্সেল মারফত চেন্নাইয়ের বুকে এসে নেমেছে মাকড়সাগুলি। যা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা। তবে প্রশাসনের অনুমান স্মাগলিংয়ের উদ্দেশ্যেই এমন ভয়ঙ্কর চেহারার মাকড়সাদের পার্সেল মারফত চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়েছে।

চেন্নাই এয়ারপোর্ট এর এক কাস্টমস অফিসার প্রথমেই পার্সেল পরীক্ষা করতে গিয়ে চমৎকৃত হন। তিনি দেখেন ওই পার্সেল এর মধ্যে ১০৭টি শিশি রয়েছে। যার মধ্যে সবকটিতেই মাকড়সা ভর্তি রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো মাকড়সাগুলি ছিল জীবিত। এর পরেই কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে এয়ারপোর্ট চত্বর। এই পার্সেলের উপর বিদেশি ডাকঘরের স্টাম্প মারা ছিল। যা দেখেই কার্যত সন্দেহ হয় এয়ারপোর্টের কর্মীদের।

এই পার্সেলটি তামিলনাড়ুর অরুপোকোটাই এলাকার এক বাসিন্দার কাছে যাচ্ছিল বলে জানা যাচ্ছে। থার্মোকলের বাক্সের মধ্যে কাপড় দিয়ে জড়ানো ১০৭টি শিশির মধ্যে মাকড়সাগুলিকে ভরে রাখা হয়েছিল। বন্যজীবন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর আধিকারিকরা মাকড়সাগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য ভারতীয় প্রাণী পর্ববেক্ষণের বিজ্ঞানীদের ডেকে পাঠান।

বন্য পশু সংরক্ষণ বিভাগের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এইভাবে মাকড়সার ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট করা আইনত নিষিদ্ধ। তাই যেখান থেকে ওই মাকড়সাগুলি এসেছে, তাদের আবার সেখানেই ফিরে দেওয়া হয়েছে। এই পার্সেলের কোন বৈধ ডকুমেন্টস কিংবা নথিপত্র এমনকি লাইসেন্সও ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকেরা মামলার তদন্ত করতে চান।