সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চাকরি পাওয়ায় স্বামী হাত কে’টে নিয়েছে, সেই নার্সের সকল চিকিৎসার দা’য়ি’ত্ব নি’লো রাজ্য

কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফিরেই তিনি কেতুগ্রামের নার্সের হাত কেটে নেওয়ার যে ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করলেন।

ওই হাত কাটা নার্সের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করলেন রাজ্যের এরকমই ঘোষণা করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তরফ থেকে। উত্তরবঙ্গ সফরে থেকে ফিরে এসে বুধবার তিনি ভবানীপুরে যান এবং সেখানে এই বক্তব্য রাখেন।

কেতুগ্রামের এই ঘটনায় ওই নার্স রেনু খাতুন এর সমস্ত দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার, সেটাই তিনি জানিয়েছেন এবং পাশাপাশি সেই নার্সের করুণ পরিণতির জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুন: নদীর বু’ক চি’রে তলিয়ে যাওয়া প্রাচীন শহর উ’ঠে এলো, উ’ত্তে’জ’না তু’ঙ্গে

রেনু যেটুকুনি কাজ করতে পারবে সে অনুযায়ী তাকে একটি কাজে নিযুক্ত করা হবে, এমনকি পরে রেনুর একটি নকল হাত তৈরি করার ব্যবস্থা করা হবে, সে বিষয়েও জানায় রাজ্য।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রেনু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করেননি কেন করেনি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে । রেনু খাতুনের শ্বশুর বাড়ি কোজলসা গ্রামে এবং সেই শ্বশুরবাড়িতেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন।

২০১৭ সালে রেনুর বিয়ে হয় শরিফুলের সঙ্গে। রেনু ছিলেন একজন নার্স প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। রেনু চেষ্টা চালাচ্ছিলেন একটি সরকারি চাকরির জন্য এবং সম্প্রতি তিনি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

অপেক্ষা ছিল যে তিনি কবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেবেন কিন্তু এই সুখবরে সুখী ছিলেন না রেনুর স্বামী শরিফুল। সরকারি চাকরি পেলে তার স্ত্রী একেবারে অন্যরকম হয়ে যাবে এই ভেবে তিনি রেনুর হাত কেটে দেন ইতিমধ্যে এ ঘটনার পরে তদন্ত করে পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে শরিফুলকে।