সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রেল স্টেশনের বো’র্ডে লে’খা থাকে সমুদ্রতল থেকে প্ল্যাটফর্মের উ’চ্চ’তা, রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ

আজকালকার দিনে পরিবহন মাধ্যমের মধ্যে ট্রেন সবচেয়ে সহজলভ্য একটি মাধ্যম। অনেক অল্প টাকার বিনিময়ে অনেক দূর পর্যন্ত ট্রাভেল করা যায়। সামান্য ২০ – ২৫ টাকার মধ্যেই প্রায় একশো কিলোমিটার অব্দি যাওয়া আসা করা যায়। যেখানে বাসে যেতে আরো বেশি টাকা লাগে। প্রাইভেট গাড়িতে তো আরই বেশি।

তাই মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য ট্রেন খুবই দরকারি একটি মাধ্যম। টিকিট কেটে সঠিক প্ল্যাটফর্মের নাম দেখে ট্রেনে একবার উঠে পড়লেই কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় নিজের গন্তব্যে। প্রতি স্টেশনে হলুদ বোর্ডে লেখা থাকে সেই স্টেশন এর নাম। ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষায় লেখা থাকে সেই স্টেশনের নাম।

কিন্তু কেউ কখনো খেয়াল করেছো কি রেল স্টেশনের হলুদ বোর্ডের মধ্যে এমএসএল এককে কিছু একটা লেখা থাকে। সেটা কি জানো? সেটা হলো ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা’ যা লেখা থাকে ওই হলুদ বোর্ডের মধ্যে। কিন্তু কেনো লেখা থাকে এটি? এটা জানার কোনো প্রয়োজন তো যাত্রীদের নেই।

আরো পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর স’ঙ্গে নিজের তু’ল’না করলেন রাখি সাওয়ান্ত, এ কি বললেন ড্রা’মা কুইন?

না, যাত্রীদের দরকার না হলেও লোকো ড্রাইভার দের আছে। এই সমুদ্র পৃষ্ট থেকে কত উচ্চতায় রেল স্টেশনটি রয়েছে সেটা জানা তাদের জন্য খুবই জরুরি। রেল স্টেশনগুলিতে এমএসএল একক লিখে রাখার প্রধান উদ্দেশ্য হল, দুটি স্টেশনের মধ্যবর্তী গ্র্যাডিয়েন্ট (স্লোপ) বা নতি সম্পর্কে লোকো ড্রাইভার, গার্ড ও রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের তথ্য প্রদান করা।

এতে করে তারা কতটা গতিতে ট্রেনটি চালাবেন সেটা বুঝতে পারেন বা এর পর রাস্তা টা উচু না নিচু সেটাও বুঝতে পারেন। সেই কারণেই প্রতি স্টেশনে হলুদ বোর্ডে লেখা থাকে এমএসএল এককে লেখা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে রেলস্টেশনের উচ্চতা।