Home আন্তর্জাতিক তালিবানদের বিজয় রথ থা’মি’য়ে দিলেন আমরুল্লাহ সালেহ! নিলেন ক’ঠি’ন প’দ’ক্ষে’প

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তালিবানদের বিজয় রথ থা’মি’য়ে দিলেন আমরুল্লাহ সালেহ! নিলেন ক’ঠি’ন প’দ’ক্ষে’প

আফগানিস্তানে সাময়িকভাবে আটকে গেল তালিবানদের বিজয়রথ। আরো একবার আফগানিস্তান লড়াই শুরু করেছে RAW এর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আমরুল্লাহ সালেহর নেতৃত্বে । সদ্য ভেঙে যাওয়া আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর বাহিনী পঞ্জশির প্রদেশে জেহাদিদের কিছুটা হলেও রুখে দিল। পঞ্জশির সীমান্তে সালেহ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির লড়াইয়ে পিছু হটতে বাধ্য হল তালিবানরা।

এর আগে ৯৬-এ যখন আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে ছিল, তখনও পঞ্জশিরে আধিপত্য বজায় রেখেছিল স্থানীয় নেতা তথা ভারতের বন্ধু আহমেদ শাহ মাসুদের বাহিনী। পঞ্জশির বহুদিন থেকেই তালিবানদের শক্ত গাঁট হিসেবে পরিচিত। ২০০১ সালে আল-কায়দা জঙ্গিদের হাতে খুন হয় আহমেদ শাহ মাসুদ। তারপরও পঞ্জশির দখলে আসেনি তালিবানদের।

মার্কিন সেনার সঙ্গে একত্রে আফগানিস্তানকে তালিবান মুক্ত করার জন্য কাজে নেমেছিল আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের বাহিনী। সেই মাসুদের বাহিনীই আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে একত্রে তালিবানদের রুখে দিয়েছে।এবার‌ও আফগানিস্তানের প্রায় ৯৮ শতাংশ দখল করে নিলেও পঞ্জশিরকে কবজা করতে পারলো না জঙ্গীরা। তালিবানরা কাবুল দখল করলেও মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরের এই প্রদেশ এখনও তালিবান মুক্ত।

কাবুল হাতছাড়া হওয়ার পর‌ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ আফগানিস্তান ছাড়েননি। তিনি পঞ্জশিরেই আছেন। আফগানিস্তানের তালিবান বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন সালেহ। বুধবার সালেহ বাহিনীর জওয়ানরা পঞ্জশিরে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের পতাকাও উড়িয়েছে। সূত্রের খবর, তালিবানদের পঞ্জশির প্রদেশে কোনোমতেই ঢুকতে দেবে না – এমনই প্রতিজ্ঞা করেছে সালেহ এবং মাসুদের বাহিনী। আফগানিস্তানের বাকি ভুখণ্ডে যখন তালিবানি রাজ শুরু হয়ে গিয়েছে তখন পাহাড়-পর্বত অধ্যুষিত এই প্রদেশটির বাসিন্দারা খানিকটা হলেও স্বস্তিতে। সন্ত্রাসবাদীদের দখলে থাকা সমগ্র আফগানিস্তান যদি মরুভূমি হয়, তবে পঞ্জশির মরুদ্যান।

নর্দান এলাএন্স ১৯৯৭ সালে তালিবানকে হারিয়েছিল। সেই সময় তালিবান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে হারাতে সমস্ত শক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়েছিল। তা সত্ত্বেও তালিবান হারের মুখোমুখি হয়েছিল। লক্ষণীয় বিষয় সেই সময় নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সমর্থন করেছিল আমেরিকা, রুশ, ভারত ও ইরান প্রভৃতি দেশগুলি। এখন আরো একবার নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এক থেকে ২ মাসে তালিবানের বিরুদ্ধে নিজেদের দাপট দেখাতে পারলে এই চার দেশের সমর্থন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।