শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে। এই অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আনা যেতে পারে এটি নতুন বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে নতুন সংশোধন বিলের ড্রাফট। এই বিল অনুসারে বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থা কে সরকারের তরফ থেকে কোনো সাবসিডি দেওয়া হবে না। এই বিলে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা টান্সফার করা হবে। ঠিক যেমন রান্নার গ্যাসের সাবসিডি দেওয়া হতো ঠিক তেমন এবার দেওয়া হবে বিদ্যুতের বিলের সাবসিডি।
মনে করা হচ্ছে এই নতুন বিলের প্রভাব সরাসরি পড়তে চলেছে উপভক্তাদের ওপর। এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে অগ্রিম সাবসিডি দিয়ে দেয়। এই সাবসিডি অনুযায়ী বিদ্যুতের বিলের দাম নির্ণয় করা হয়। কিন্তু আগামী দিনগুলিতে বিদ্যুৎ প্রধান সংস্থা গুলি কে আর সাবসিডি দেওয়া হবে না। নতুন বিলের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা টান্সফার করা হবে।
বর্তমানে ভারতের বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থা গুলি ভীষণভাবে লোকসানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বাকি পড়ে রয়েছে তাদের। সাবসিডি পেতেও দেরি হচ্ছে, ফলে অর্থ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থা গুলি. এই সংকট কাটানোর জন্য এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে বিদ্যুৎ সংশোধন বিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সংশোধন বিল অনুসারে বাড়ির মালিক অথবা দোকানের মালিক কিংবা জমির মালিকের নামে যদি আসে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু যারা ভাড়া বাড়িতে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে কিভাবে সাবসিডি আসবে ব্যাংক একাউন্টে তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থেকেই যায়। এখনও এই বিষয়ে যথাযথ উত্তর পাওয়া যায়নি।