সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফেব্রুয়ারিতেই পুরোপুরি স্কুল-কলেজ খো’লা’র সি’দ্ধা’ন্ত সরকারের

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই 15 থেকে 18 বছর বয়সীদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে চাইছে কেন্দ্র। কারণ এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেই স্কুল-কলেজ খোলায় অগ্রসর হওয়া সহজ হবে বলে সরকারের অনুমান। গত 3 জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ করতে পারলে স্কুল কলেজ খোলা, বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়ার কাজ পুরোদমে শুরু করা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পরপরই ২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন বাকি জনজীবনের মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থাও। স্কুল, কলেজগুলির গেটে তালা পড়ে গিয়েছিল পড়ুয়াদের জন্য।

পরবর্তীকালে স্কুল খোলার চেষ্টা করা হলেও তা বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুদিন চালু হওয়ার পরই ফের করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল স্কুল। আর এই সময়ে পড়ুয়াদের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ার পর থেকে একটি বড় অংশের পড়ুয়া ক্রমেই শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোত থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে আর্থিক দিক থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের পড়ুয়াদের এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের।

অনেকের বাড়িতেই স্মার্টফোন নেই, আবার অনেকের স্মার্ট ফোন থাকলেই সেই গ্রামে ইন্টারনেটে পরিষেবার স্পিড ভাল নয়। এমনই একগুচ্ছ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল পড়ুয়াদের। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দেগঙ্গাতে চালু হল দুয়ারে বিদ্যালয়। আগামী ৭ এই মার্চ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এরপর রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মাঝে স্কুল খুললেও, ফের গেটে তালা। ফলে পড়ুয়াদের মনে যেমন নানা প্রশ্ন, তেমনই ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন মাস্টারমশাই, দিদিমণিরা। এই পরিস্থিতি কাটাতে এবার কুমারপুর পরশমণি শিক্ষা বিতান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চালু করলেন দুয়ারে বিদ্যালয়।

এই দুয়ারে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে এ বছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যারা রয়েছে, তাদের বাড়িতে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন মাস্টারমশাইরা। সিলেবাস অনুযায়ী যে সমস্ত ভুল ত্রুটি রয়েছে সেগুলো সংশোধন করে দিচ্ছেন। ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দিচ্ছেন ভালভাবে পরীক্ষা দিতে হবে। সাহস যোগাচ্ছেন, পরিস্থিতি কঠিন হলেও হাল ছাড়া যাবে না বলে। বাড়িতে বসে স্কুলের চেনা শিক্ষকদের সহযোগিতা পেয়ে উৎসাহিত ছাত্র ছাত্রীরাও। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষকদের এভাবে বাড়িতে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।