মন্দ্রিতা চট্টোপাধ্যায় জামশেদপুরের টেলকো হিলটপ স্কুলের ছাত্রী। ২০১৬ সালে মন্দ্রিতা তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙে খুচরো, ১০, ২০, ১০০, পুরনো ৫০০ টাকা-র নোট মিলিয়ে ২৪ হাজার টাকা নিয়ে মন্দ্রিতা তুলে দেয় বাবার হাতে।
পরে ওই টাকায় কাছাকাছির পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি শৌচাগার তৈরি হয়েছিল। বস্তুত, ওটাই ছিল আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কেন্দ্রাডিহির প্রথম শৌচাগার। সাড়ে তিনশো বাসিন্দার ব্যবহারের জন্য শৌচাগার বানিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী।
এখন জামশেদপুরে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে কাজ করছে মন্দ্রিতা। এমনকি সমানতালে চলছে আইএস হওয়ার প্রস্তুতি। অমিতের কথায়, আমি বা স্ত্রী কেউই চাইনি যে, মেয়েকে ক্লাসে প্রথম বা দ্বিতীয় হতে হবে।
আরো খবর: খাঁটি হাওয়া বি’ক্রি হচ্ছে, দাম মা’ত্র ২৫০০ টা’কা, অভিনব ব্যবসা ব্যক্তির
সব সময় চেয়েছি ও ভাল মানুষ হোক। মন্দ্রিতাও চায় আইএএস হতে। তার কথায়, আমি একটা মন্দ্রিতা হয়ে যে কাজ করছি, আইএএস হয়ে অনেক মন্দ্রিতা এই রকম কাজ করতে পারবে।