সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কিছুই হয়নি পার্থর, হাসপাতালে ভ’র্তি’র প্রয়োজন নেই: ভুবনেশ্বর AIIMS

“জিন্দেগি এক সাফার হে সুহানা, ইহা কাল কেয়া হো কিসনে জানা” নানা ভুল করছেন এটা কোন গানের জন্য প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে না আসলে, এই গানটির অর্থ হল আজকে কি আছে জীবনে তার ঠিক নেই, কালকে কি হবে সেটা কেউ জানেনা। এরকমই কিছু ঘটনা ঘটেছে আমাদের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে।

২১শে জুলাই এর অনুষ্ঠানের সময় হয়তো ভ্রুনাক্ষরেও তিনি টের পাননি যে আগামী দু’দিনের মধ্যে কি হতে চলেছে। শুক্রবারে সবকিছু ভেস্তে গেল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি যার পর গোটা বাংলা জুড়ে হইচই অবস্থা।

জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু তারপরেই শুরু হয় নাটকীয় কার্যকলাপ। আদালতের কাছে আবেদন করেন স্বয়ং মন্ত্রী মশাই চিকিৎসার জন্য যার কারণেই তাকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয় আদালতকে ।

আরো পড়ুন: শেষ মু’হূ’র্তে ঘুর’তে যাওয়ার পরিকল্পনা বা’তি’ল করলেন স্ত্রী, এরপরেই যা ক’রে ফেললেন যুবক

হাসপাতাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আজ ছাড়ার কথা, এই বিষয়ে ভুবনেশ্বরের চিকিৎসক তথা এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আশুতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “মন্ত্রী মশাইয়ের হৃদযন্ত্র, রক্ত, কিডনির সমস্ত কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে এবং শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো গুরুতর নয়। সেই কারণে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।”

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ওষুধগুলো খাচ্ছেন সেগুলোই তাকে আপাতত খেতে হবে। তবে এই সংক্রান্ত চিকিৎসা নিয়ে এইমসের চিকিৎসক কোন বিষয়ে কথা বলেননি। দুপুর তিনটের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ে রিপোর্ট জমা হয়েছে। ভুবনেশ্বর এমস মেডিকেল বোর্ড এই রিপোর্টের কপি দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতাল,ইডি এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে।

কলকাতা হাইকোর্টে এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে শুনানি জানানো হবে বিকেল চারটের সময়। আদেও মন্ত্রী মশাইকে হাসপাতলে ভর্তি থাকতে হবে কিনা সে ব্যাপারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। খবর সূত্রে জানা গেছে পার্থবাবু চিকিৎসকদের তাঁর কিডনি এবং হার্টের সমস্যার কথা জানালে ইসিজি,ইকো এবং ইউএসজি তিনটে পরীক্ষা করা হয় তবে তিনটে পরীক্ষায় সেরকম কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।