শুধু কি প্রকৃতিকে একাই দোষ দেওয়া যায়, এর সাথে জড়িত রয়েছে মানুষও। বলা যেতে পারে প্রকৃতি ও মানুষের সম্মিলিত ইতিহাস। আর সেই কারণেই এই আগুন, কিন্তু সেই আগুনকে এবার নেভানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে জ্বলছে এই আগুন। এবার নিভিয়ে ফেলা হবে তাকে। আর সেই কারণেই বন্ধ হয়ে যাবে এবার নরকের দরজা। জায়গাটি হল তুর্কমেনিস্তানের কারাকুম মরুভূমিতে। সেখানে রয়েছে বিশাল এক গর্ত, এবার সেটাকে নেভানোর জন্যই চলছে তড়িঘড়ি।
ইতিমধ্যেই নেভানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কি কারণে নেভানো হবে এই আগুন? আসলে যদি ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় তাহলে লক্ষ্য করা যাবে ভূতাত্ত্বিকেরা একটা সময় এই গর্ত খনন করেছিলেন কারাকুম মরুভূমিতে। ১৯৬০ সালেই সেখানে একটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়, কিন্তু ১৯৭১ সালে সেখানে গর্ত খনন করে ভূতাত্ত্বিকের দল। সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিক খনিজ তেলের সন্ধানে কারাকুমের মরুভূনিতে অভিযান শুরু করে।
তারা যখন সেখানে কাজ শুরু করে তারা বুঝতে পারে ভূ গর্ভস্থ গ্যাসের এক ভান্ডার রয়েছে আশেপাশেই। তার পরে কয়েক জায়গায় গর্ত করে সেই গ্যাস রিলিজ করা হয় ঠিকই। কিন্তু সেটা পুরোপুরি ভাবে বের হয় না, সেই জায়গা থেকে। কাজের সূত্র ধরেই ভূপৃষ্ঠের একটা অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায় আগেই। তারা ভাবে হয়ত গ্যাসের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দিলে তা পুড়ে কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু তারা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার খেসারত ভুগতে হচ্ছে তাদের এখনও।