১৭০ বছর আগে বাঁকুড়ায় জয়রামবাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জগৎ জননী সারদা মা কিন্তু সেই সময় ছোট্ট সারদার যে একটা সময় গোটা জগতের মা হয়ে দাঁড়াবেন সে সময় হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি। সারদা মায়ের আরেক অর্থ হলো করুণার এক অপার সাগর। সারদা মা বলতেন প্রত্যেকটা মানুষই তার সন্তান।
তিনি বলতেন গায়ে যদি ধুলোবালি লেগে থাকে তাহলে মায়ের উচিত সেই ধুলোবালি পরিষ্কার করে দেওয়া,এর অর্থ হচ্ছে সন্তানের মধ্যে যদি কোনরকম কুপ্রবৃত্তি বাসা বাধে তাহলে সেটাকে দূর করতে হবে, সেই সন্তানকে দূরে সরিয়ে না দিয়ে।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সহধর্মিনী মা সারদা মা ঠাকুর। নরেন এবং আমজাদ সহ মায়ের ছেলেরা মাতৃনির্ভর এতটাই হয়ে পড়েছিলেন যে সন্তানের প্রতি যত্ন নিতে মা সারাদিন অতিবাহিত করতেন। তাদের কাছে মা ছাড়া যেন গোটা পৃথিবী অন্ধকার ছিল। এরপরে গদাধর চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসেন মায়ের সেবার জন্য সারদা মাকে নিয়ে।
আরো খবর: বাংলার আকাশে রহ’স্য’ম’য় আলো! UFO না’কি অ’ন্য কিছু?
সারদা মা করুণাময়ী রানী রাসমনির স্বপ্নের দক্ষিণেশ্বরকে এক আলাদা পিঠস্থানে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দয়া মায়ার বড় উদাহরণ হল মা সারদা, তিনি জগদ্ধাত্রী তিনি সরস্বতী, তিনি লক্ষ্মী। স্বামী বিবেকানন্দ সারদা মাকে গোটা পৃথিবীর যত ভালো কিছু রয়েছে সেগুলোর সৃষ্টির স্রষ্টা বলে মনে করতেন। মা সারদা মায়ের বাণী, সবাই ভালো, সবাইকে নিজের মনের মত গড়ে নিতে হয়।