সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সন্তান প্র’স’বে’র সময় মায়ের সা’থে “প্রসবসাথী” বাবার থা’কা উ’চি’ত

বিদেশে এটা নতুন কিছুই না, গত কয়েক দশক থেকে এমনটাই হয়ে আসছে। আসলে একজন গর্ভবতী মহিলাকে যখন ডেলিভারী রুমে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার সাথে, তার স্বামীকেও ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা ভারতে দেখা যায় না। যদি ভালোমতো বিবেচনা করে দেখা যায় তাহলে লক্ষ্য করা যাবে, স্বামীর পাশে থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ডেলিভারীর সময় যদি স্বামী পাশে থাকে তাহলে , সন্তান হওয়ার মূহুর্তের সাক্ষী সে নিজেও থাকতে পারবে।

এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না অন্তসত্ত্বা হওয়ার পেছনে যৌথ প্রচেষ্টা রয়েছে, তাহলে সেই অভিজ্ঞতা কেনো শুধু মায়ের হবে? পুরো গর্ভকালীন অবস্থায় তার স্ত্রীর যত্ন নিয়েছে সেই স্বামী, হয়তো কাজের থেকে এসে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করেছে। তাকে খাইয়ে দিয়েছে, অনেক সেক্রিফাইস করেছে। কিন্তু তাও কেনো তাকে সন্তান জন্মকালে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না? কিন্তু আমাদের এখানে এই প্রথম প্রসব সাথী চালু করার পর অনেকেই আনন্দ পেয়েছে।

এটা আমাদের মনে রাখতে হবে প্রসব কোনও ধরনের অসুখ নয়। এটা পেটে অস্ত্র চালানোর মতো অন্যান্য কোনও রোগ নয়। তাই আগেই ভয় পেলে চলবে না। বাচ্চা হওয়াটা স্বাভাবিক একটা জিনিস। স্বামীর উপস্থিতি হলও স্ত্রীকে সাহস দেওয়ার জন্য। হাসপাতালের ভয় কাটানোর জন্য। দেখা গেছে এতে মায়ের নর্মাল ডেলিভারীর ক্ষেত্রে উপকার হয়েছে, অনেক মাত্রায় নর্মাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

স্বামীর পাশে থাকে সেই সময় কার মানসিক শান্তি।এতে মায়ের মানসিক জোড় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। বিদেশে সিজারের সময়ও স্বামীকে থাকতে দেওয়া হয়। যখন এই অপারেশন করা হয় তখন স্পাইনাল এনেস্থেশিয়া দেওয়া হয়, যাতে মা শিশুর কান্না, জন্মানো সব কিছুই বুঝতে পারে। তো এই মূহূর্তের সাক্ষী যদি বাবা হতে পারে তাহলে আর এর থেকে ভালো কি হবে।