করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যে এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। বাস, মেট্রোর মতো গণপরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক। তবে এখনও বন্ধ লোকাল ট্রেন। তার ফলে অগণিত সাধারণ মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তা আবার সবার জন্য নয়, শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ কয়েকটি পেশার সঙ্গে যুক্তরাই চড়তে পারেন।
করোনার কারণে ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। তাই বর্ধমান, হুগলি এবং নদিয়ার কৃষিজীবী মানুষের কথা ভেবে অবিলম্বে স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই জন্য তিনি পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে চিঠিও দিয়েছেন। মূলত কাটোয়া থেকে হাওড়া এবং তারকেশ্বর থেকে হাওড়া ট্রেন পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন।
Lok Sabha MP from Hooghly Locket Chatterjee wrote to Eastern Railway, proposing to operate Krishak/Vendor special service between Katwa-Howrah & Tarakeswar-Howrah sections. "This will help farmers/krishak to carry their products by special trains on purchase of tickets",she wrote pic.twitter.com/OjqrX8JU1o
— ANI (@ANI) September 2, 2021
ট্রেন বন্ধ থাকার দরুন মাঝে মাঝেই ক্ষুব্ধ জনসাধারণ একাধিকবার শিয়ালদহ শাখার নানা স্টেশনে আন্দোলন করেছেন। রেল অবরোধ, বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, ট্রেন চালানোর ব্যাপারে তারা একরকম প্রস্তুত। শুধুমাত্র নবান্নের সবুজ সংকেত মেলার অপেক্ষায়। তাহলেই সাধারণ যাত্রীদের জন্য পুনরায় চালানো হবে লোকাল ট্রেন।
তবে বহুবার লোকাল ট্রেন চলার বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই যতক্ষণ না টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়, ততক্ষণ ট্রেন আপাতত বন্ধই থাকবে। আবার কবে লোকাল ট্রেনের চাকা ঘুরবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে চিঠি দিয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অবশ্য এবার নতুন নয়, এর আগেও কিষাণ রেল স্পেশ্যাল চালু করা হয়েছিল।