সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ইঞ্জিনিয়ারের বেতন মাত্র ৩০ হাজার, বাড়ি থেকে উ’দ্ধা’র ১০ টি বিলাসবহুল গাড়ি ও ৩০ লাখের টিভি

এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে চলল তল্লাশি। জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে খবর ছিল ওই মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অর্থ সম্পদ যা সবটাই নাকি আয় বহির্ভূত। সেই ইঞ্জিনিয়ারের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমত চক্ষু চরক গাছ হয়েছে আধিকারিকদের। জানা গিয়েছে ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম মিনা তার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তবে শুধু ভুপালেই নয় তার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি রয়েছে।

ভূপালের বিলখিরিয়া গ্রামে কুড়ি হাজার বর্গফুটের একটি জমি রয়েছে তার। সেই জমিতে নাকি এক কোটি টাকা খরচ করে তিনি একটি বিরাট বড় বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সেই বাংলোতে রয়েছে চল্লিশ খানা ঘর। সেই জমিটি অবশ্যই নিজের নামে নয় নিজের বাবার নামে কিনেছেন তিনি এছাড়াও রায় সেন এবং বিদিশায় তার একাধিক কৃষি জমি রয়েছে।

তিনি একজন সামান্য সহায়ক ইঞ্জিনিয়ার। তার বেতন ৩০ হাজার টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তার একটি ফার্ম হাউস আছে। এখানে নাকি ৫০ টি বিদেশি কুকুর রয়েছে যাদের প্রত্যেকটির দাম ১ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া ওই ফার্ম হাউসে সত্তর প্রজাতির আলাদা গরু রয়েছে।

আরো খবর: দীর্ঘ ১৮ মা’সে সর্বনিম্ন খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হা’র, তবে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা ক’ম’বে?

ওই বাংলোতে কর্মচারীর সংখ্যা ২৫ জন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি এবং তার জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াকিটকি। এই ওয়াকি টকি দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। কুকুরদের রুটি খাওয়ানোর জন্য একটি অটোমেটিক মেশিন ব্যবহার করেন তিনি যার দাম আড়াই লাখ টাকা এছাড়াও তার কাছে দুটি ট্রাক একটি ট্যাংকার এবং দশটির বেশি গাড়ি রয়েছে।

ফার্ম হাউজে রয়েছে একটা বিশেষ ধরনের বড় ঘর সেই ঘরেই রয়েছে নানান ধরনের নেশা সামগ্রী। ৩০০০০ টাকা বেতন পান তিনি কোথা থেকে এত বিলাসবহুলতা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আধিকারিকরা।

তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করে দেখা গিয়েছে আয়ের ৩৩২ গুণ বেশি। তিনি ১৩ বছর ধরে চাকরি করছেন তার মধ্যে তার সম্পত্তি ১৮ লাখ টাকা হওয়া উচিত।কিন্তু তার সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু কোথা থেকে এসেছে এই সম্পত্তি তা জানতে চলছে তদন্ত।