পুরাতন যুগে এমন অনেক নিয়ম ছিল যা হয়তো কুসংস্কার মনে হলেও তার পেছনে থাকে কোন বৈজ্ঞানিক ধারণা। পুরাতন যুগের এই সমস্ত ধারণা আমাদের খারাপ মনে হলেও কিছু কিছু এমন নিয়ম রয়েছে যা যদি আমরা মেনে চলি, তাহলে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা মিটে যায়।
বাঙালি মানেই মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া ভাত মানুষ ভাবতেই পারেনা। দুপুরবেলা ভাতের সঙ্গে মাছের ঝোল না খেলে যেন মন ভরে না। কিন্তু আমাদের মা ঠাকুমার অনেক সময় বলতেন, সূর্যাস্তের পরে কখনো মাছ খেতে নেই? তারা হয়তো এই সমস্ত কথা না জেনেই বলতেন কিন্তু এর পেছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক মতামত।
পুরনো যুগের এই কথা বলা হতো কারণ সেই সময় আলোর কোন ব্যবস্থা থাকত না বাড়িতে। রাতে মাছের কাঁটা গলায় আটকে যেতে পারে তাই এই কথা বলা হতো সকলকে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মাছ ভীষণ হাই প্রোটিন যুক্ত খাবার তাই হজম হতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
আরো পড়ুন: ঐক্যশ্রী প্র’ক’ল্পে অনিয়মের অ’ভি’যো’গ, নড়েচড়ে ব’স’লো প্রশাসন
দুপুরবেলা মাছ খেলে যতটা তাড়াতাড়ি হজম হয় রাতে মাছ খেলে তাড়াতাড়ি হজম হয়না। অন্যদিকে রাতের বেলা মাছ খাওয়ার পর আমরা আর কোনো শারীরিক কার্যকলাপ করি না তাই আমাদের হজম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ঠিক এই কারনে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাতে খেতে বারণ করে চিকিৎসকরা। রাতে রুটি অথবা নিরামিষ আহারের থেকে ভালো কোন খাবার হতে পারেনা বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা।