কেন্দ্র বড়ই তৎপর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বদল আনতে কারণ হিসাব বলছে ২০০০ সালের পর থেকে বদলানো হয়নি তথ্যপ্রযুক্তি আইন। শুধুমাত্র প্রযুক্তির দিক থেকে বদলেছে দেশ এবং তার জেরেই কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল কনটেন্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বড়ই তৎপর। করোনা কাল থেকেই অত্যন্ত গ্রামেও ক্যাশ লেসের প্রভাব পড়েছে।
প্রত্যেকটি মানুষের হাতে এখন স্মার্টফোন এবং বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। বর্তমানে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে ভারতের। নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলছে ধীরে ধীরে। তার ই ফলশ্রুতি ৫জি নেটওয়ার্ক যা এসে গিয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। আগামী কয়েক বছরের ৫জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস চালু হয়ে যাবে গোটা ভারতেই। যে কাজে ব্রতী হয়েছেন জিও এবং এয়ারটেল সংস্থাগুলি।
তবে তথ্যপ্রযুক্তিতে পরিবর্তন হলেও তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে আজ অব্দি তেমন রদবদল ঘটেনি। তাই এই নিয়ে বড়সড়ো পদক্ষেপ তুলতে ব্যস্ত কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই তাঁরা একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাক্টের প্রয়োজনীয় বদল নিয়ে প্রথমবার পাবলিক কনসালটেশন মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। যা এক নজির বিহীন ঘটনা বলা যেতে পারে।
আরো খবর: প্রতি শনিবার করে পা’ঠ করুন শনি চল্লিশা, খু’শি হবেন শনি মহারাজ!
সেই মিটিংয়ে নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তার বিষয় ছাড়াও ডিজিটাল সিকিউরিটি সাইবার ওয়্যারের মত বিষয়গুলো উঠে এসেছে।ডিজিটাল আইন ছাড়াও বেআইনি ট্রেড প্র্যাকটিস রেগুলেশন ও ফের নিউজের মত বিষয় গুলিরও উল্লেখ রয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর আলোচনা করেন অনলাইন সেফটি ও ট্রাস্ট অ্যকাউন্টেবিলিটি পরিষেবার মান এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি মত বিষয়গুলিও।
এছাড়াও কেওয়াইসি আপডেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, জোর দেয়া হয়েছে কন্টেন্ট মানিটাইজেশনের রুলসের দিকে ও ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম জেনারেটেড কন্টাক্ট এদিকেও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র।
আপাতত ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাক্টের খসড়া বিলটি নিয়ে আরো বিচার বিবেচনা করছে কেন্দ্র যাতে কোন দিকটি নজর এড়িয়ে না যায়। আরো একটু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হোমওয়ার্ক করে নিতে ব্যস্ত কেন্দ্র।