সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পৈশাচিক: দ্বিতীয় স’ন্তা’ন মেয়ে হওয়ায় স্ত্রী সহ দুই কন্যাকে কুয়োতে ফে’লে দি’লো স্বামী

একবিংশ শতকেও যে সমাজে কন্যা সন্তানকে গ্রহণ করা হয় না তার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশ থেকে। মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর রবিবার ঘটে গেল এমনই একটি ঘটনা। 42 বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কিন্তু তার স্ত্রী সহ দুই মেয়েকে ফেলে দিয়েছেন কুয়োর মধ্যে। ইতিমধ্যেই ৮ বছরের কন্যা সন্তান জলে ডুবে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে পাদই গ্রামে। রবিবার সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন স্ত্রী। তিন মাস আগেই দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় মাঝপথে হঠাৎ করে পান্না জেলার কাছে মোটরবাইক থামিয়ে দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে কুয়োর মধ্যে ফেলে দেয় স্বামী।

পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন যে, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানদের কুয়োর মধ্যে ফেলে দিয়ে ওপর থেকে পাথর খেলতে শুরু করে দেয় যাতে কেউ জল থেকে উঠে না আসতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তারা সেখানেই তলিয়ে যায়। ঘটনার জেরে ৮ বছরের কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে। তবে গ্রামবাসীরা মহিলার চিৎকার শুনে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন এবং তাকে এবং তার তিন মাসের মেয়েকে বাঁচাতে সক্ষম হন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজা ভাইয়া যাদব। স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পুলিশকে জানিয়েছেন যে, দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান হওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। কেন পুত্রসন্তান জন্ম দিল না তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মহিলাকে গালমন্দ করা হচ্ছিল। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন স্বামী। তবে সত্যিই যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে তা কল্পনাও করতে পারেনি স্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই বড় মেয়েকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত মহিলা। এখনো পর্যন্ত রাজা ভাইয়া যাদবের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের চেষ্টার ২ ধারাতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পলাতক অভিযুক্ত।