পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ করা হয়নি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলার রায় বেরোলো মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (SAT) নির্দেশ খারিজ করে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন হলফনামা দিয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। একই সঙ্গে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালকেও আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারীরদের মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হল না কেন? প্রশ্ন তুলেছে আদালত। হাইকোর্টের তরফ থেকে কড়া নির্দেশে জানানো হয়েছে, যদি মামলা চলাকালীন পাবলিক সার্ভিস কমিশন কোনও নিয়োগ করে তাহলে সেই নিয়োগপত্রে লিখে দিতে হবে যে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। মামলার চূড়ান্ত রায়ের উপরেই চাকরিজীবীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালে জুনিয়র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পদে মোট ১৩৭৮টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে মোট ১০৮২ জনকে নিয়োগ করা হয়। যদিও মেধা তালিকায় আরও ২৭৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আরও ১০২ টি নতুন শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছিল।