সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মূলত হিন্দু সমাজেই ক’মে’ছে জন্মহার, জ’ন্মসং’খ্যা নি’য়’ন্ত্রণ বি’ল আনতে চা’ই’ছে সংঘ

ভারতে যত দিন যাচ্ছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার বদলে বেড়েই যাচ্ছে। আর এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে কড়াকড়ি ব্যাবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। যাতে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট না হয়। আর এই নিয়েই উদ্যোগী হতে দেখা গেলো উত্তরপ্রদেশের সংঘ পরিবারকে। বলা হচ্ছে গত বিজয় দশমীর দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত দলকে যে দিশা-নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠকে বসতে চলেছেন সঙ্ঘ নেতারা।

মূলত ধর্মভিত্তিক সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা, মাতৃভাষায় শিক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন ভাগবত। এছাড়াও আরো একটি বিষয় হলো ভারতের জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। তাদের মতে, সরকার ২০২৫ সালের গণনা অনুযায়ী যা জাতীয় গর্ভধারণের যে হার সরকার স্থির করেছিল, তা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব হবে। সরকার ওই দাবি করলেও, আগামী দিনে আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সঙ্ঘ পরিবার।

এই সব কিছু নিয়েই আলোচনা করা হবে চারদিন ধরে সংঘ পরিবারের সভায়। তাই আগামিকাল থেকে চার দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারের কার্যসমিতির সভা। এই সভা নিয়েসঙ্ঘ পরিবারের মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেন, ‘‘বিজয়া দশমীতে যে বিষয়গুলি নিয়ে সঙ্ঘ প্রধান বক্তব্য রেখেছিলেন, সেগুলি যাতে আগামী দিনে রূপায়িত করা সম্ভব হয়, তা নিয়েই বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে।’’ পাশাপাশি ২০২৫ সালে দলের একশো বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। যার প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: ৪ সন্তান থা’ক’লে কো’নো সরকারি সাহায্য পাওয়া যা’বে না

এ ছাড়া বর্তমানে শাখার প্রায় ৫৫ হাজার দফতর রয়েছে, যা বাড়িয়ে এক লক্ষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষ করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনা হবে এই সভায়। আসলে এই সঙ্ঘ দলের মতে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যতোটা সতর্ক হওয়ার বা জন্মহার কমার তা শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মের মানুষের মধ্যেই কমেছে। কিন্তু মুসলিম ধর্মীয় মানুষদের মধ্যে একই রকমের সচেতনতা দেখা যায় না।

ফলে একদিন দেখা যাবে জনসংখ্যার বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে দাঁড়াবে মুসলিমেরা। সেই কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার পক্ষপাতী সঙ্ঘ পরিবার। তাই সঙ্ঘ প্রধানের দেখানো পথেই আগামিকাল থেকে চার দিন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার।