সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একেই বলে নি’য়’তি, জ’ন্মে’র সময় হাসপাতালেই হয়েছিলো অদলবদল, তারাই এখন ব’ড়ো হয়ে জীবন’স’ঙ্গী

বাঙালিরা বিবাহের বন্ধনকে বলেন অদৃষ্টের লিখন। ভগবান যাঁর জন্য যাঁকে ঠিক করে রাখবেন তাঁর সাথে আরেকজনের বিবাহ হবে। এগুলো ভাগ্য দ্বারা নির্ধারিত বলেই অনেকে বিশ্বাস করেন। আর এই কথাটি যে কিছুটা হলেও ঠিক তার প্রমাণ মিলল সুদূর বিদেশে।

জানা যায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বাসিন্দা জিম মিচেল আর মার্গারেট মিচেল এই দম্পতির মিলন সম্পূর্ণ বিধির লিখনের মাধ্যমেই হয়েছে। তাঁদের জীবন কাহিনী তেমনই স্মৃতি বহন করে। এই দম্পতি দীর্ঘ ৫০ বছরের বিবাহিত জীবন কাটিয়ে ফেললেন। এই সেপ্টেম্বর এ ছিল তাঁদের পঞ্চাশতম বিবাহবার্ষিকী। তারা এই দিনে ভাগ করে নেন তাদের জীবনের গল্প।

ল্যাঙ্কাশায়ারের বাসিন্দা জিম মিচেল আর মার্গারেট মিচেল ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন লেনক্সটাউনের একই হসপিটালে একই দিনে। কিন্তু সমস্যা হয় অন্য কারণে, জানা যায় তাদের মায়ের নাম দুজনারই একই থাকায় বাচ্চাদের ঘুলিয়ে ফেলে নার্সরা। অদল বদল হয়ে যায় তাঁরা।

আরো পড়ুন: বা’স্তু মেনে করুন বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজো, সব প্রা’র্থ’না শুনবেন মা

যদিও তাদের আসল মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আর সেখানেই দু’জনের মায়ের আলাপও হয়। জানা যায়, গ্লাসগোর দক্ষিণে মাত্র আধ ঘণ্টা দূরে বসবাস তাঁদের। তবে গল্পটা এখানেই শেষ নয়। তাদের দেখা পরবর্তী ১৮ বছর না হলেও আঠারো বছর পর এক বন্ধুর বিয়েতে দেখা হয় তাঁদের।

একে অপরকে ভালোই লাগে তাদের। তারপর দু মাস আলাপ পরিচয় বা প্রেম করার পর তারা তাদের পরিবারকে জানান যে তাদের জীবন সঙ্গী তারা খুঁজে পেয়েছে। তারপর তাদের বাবা মা দের সাথে আলাপ করিয়ে দিলে দুই মা- ই চমকে ওঠেন। চিনতে পারেন একে অপরকে। তাঁদের জানান কি হয়েছিল অতীতে তাদের সাথে। আর অবশেষে দুজনে বিয়ে করেন তাঁরা।

বর্তমানে দুই পুত্র তাদের। সেই পুত্রের ছেলে মেয়ে নিয়ে তাঁদের সুখী পরিবার। আর সেই গল্পই তাদের ৫০ বছরের বিবাহবার্ষিকীতে তাঁরা জানান। তাঁরা মনে করেন বিধির লিখনে তারা একে অপরের জন্যই ছিল তাই তারা এভাবে এক হতে পেরেছেন।