বর্তমানে সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সূত্রে খবর,তার হাতেখড়ি হয় বড়ঞার ভড়ঞা গ্রামের অপর এক যুবক কৌশিক ঘোষের হাত ধরেই! বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন কৌশিক ঘোষকে আটক করেই সম্ভবত জীবন সম্পর্কে জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এরপর, নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডার খোঁজে গত শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় সিবিআই।তার বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্তপূর্ণ নথি ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সিবিআই।
নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে গ্রেফতার হন।এরপর সোমবার সিবিআই আধিকারিকরা তাকে কলকাতায় নিয়ে যায়।
আরো খবর: ভি’ড়ে এড়িয়ে চলুন, বাসে-ট্রেনে মাস্ক অবশ্যই পরুন! নি’র্দে’শি’কা রাজ্যের
আদালত জীবনকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করত কৌশিক ঘোষ, জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ বহু এজেন্ট।
সূত্রে খবর, কৌশিক ঘোষের সাথে জীবনকৃষ্ণ সাহার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন কৌশিকের দাদা সৌমিত্র ঘোষ। এই সৌমিত্র ঘোষ এবং জীবনকৃষ্ণ দুজনেই পেশায় ছিলেন প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক।
এরপর,কৌশিক ঘোষের একজন এজেন্ট হিসাবেই কাজ করতে শুরু করেন জীবনকৃষ্ণ। সেখান থেকেই যাবতীয় কৌশল আয়ত্ত করে নেন তিনি। বিধায়ক হওয়ার পর তার হাতে অনেকটা ক্ষমতা চলে আসে। এরপর শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতির ব্যবসা’ নিজেই শুরু করেন জীবনকৃষ্ণ।