সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১০ মাসের শিশুকন্যার উপর অমানবিক নি’র্যা’ত’ন, CCTV-তে ভ’য়া’ন’ক দৃশ্য ধরা পড়তেই গ্রে’ফ’তা’র পরিচারিকা

আজকাল বেশিরভাগ বাবা-মাই কর্মরত। তাই তাদের সন্তানদের দেখাশোনার জন্য অনেকেই পরিচারিকা রাখেন। কিন্তু তাতেও কি সন্তানের বাবা-মা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন? এ বিষয়েও মতবিরোধ রয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিচারিকা সেই শিশুদের ঠিকঠাক দেখভাল করেন না। এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুরের পাশকুঁড়ায়। অভিযোগ করা হয়েছে ১০ মাসের শিশুকন্যার উপর পাশবিক অত্যাচারের। অভিযোগের আঙুল উঠেছে পরিচারিকার দিকে। ১০ মাসের শিশুকন্যার মা-বাবা দুজনেই কর্মরত। জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা দেবাশীষ দাস বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক। শিশুটির মা নবমিতা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাবলিক জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। তাঁরা ভাড়া থাকতেন পাঁশকুড়ার মেচোগ্রামে ফ্ল্যাটে।

আর তখনই মেচোগ্রামের বাসিন্দা কল্পনা সেনের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়েছিল। পরিচয়ের সূত্রে ২০১৮ সাল থেকেই ওই দম্পত্তির বাড়িতে পরিচারিকার কাজে লেগেছিলেন কল্পনা। ২০২০ সালের নভেম্বরে ওই দম্পতির একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়। কাজের সূত্রে দেবাশীষ বাবু বাঁকুড়াতে থাকলেও প্রতি শনিবার করে তিনি বাড়ি ফিরতেন। অন্যদিকে, নবমিতারও রোজ ফ্ল্যাটে ফিরতে ফিরতে রাত হত। আর তাঁদের একরত্তি শিশু কন্যা ভাড়া বাড়িতে পরিচারিকার তত্ত্বাবধানেই থাকত। অভিযোগ উঠেছে বাবা-মার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে শিশুটির উপর নির্মম অত্যাচার চালাত সে।

মাসখানেক আগে থেকেই পরিচারিকার আচরণে বদল লক্ষ্য করেছিলেন তারা। তাই বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান ওই দম্পতি। আর তাতেই ধরা পড়ে পরিচারিকাটির কীর্তিকলাপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবাশীষ বাবু মেয়েকে দেখার জন্য বাঁকুড়া থেকেই নিজের মোবাইলে অনলাইনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তখন সিসিটিভিতে দেখা যায়, ওই পরিচারিকা ১০ মাসের শিশু কন্যাটির উপর নির্মম শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে। শিশুটিকে বিছানায় তুলে আছাড় মারছে সে।

দেবাশীষ বাবু তৎক্ষণাৎ স্ত্রী নবমিতাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানান। এরপর তারা সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ফিরে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং পাঁশকুড়া থানায় কল্পনা সেনের নামে অভিযোগ জানান। শিশু কন্যাটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই মুহুর্তে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল। পুলিশ CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত পরিচারিকাকে গ্রেপ্তার করে।