সম্প্রতি ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ত্রিপুরায়। বিজেপি,কংগ্রেসের পাশাপাশি এবার তৃণমূলও জোড় কদমে প্রচার চালিয়েছে সেখানে।ত্রিপুরায় ভাল ফল নিয়ে আশাবাদী ছিল তৃণমূল শিবির।কিন্তু সেই চেষ্টা কার্যত ব্যার্থ হল। খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল। মমতা ম্যাজিক ত্রিপুরায় কোনো কাজে এলো না।
এবারের ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের যা ফল তাতে কার্যত অস্তিত্ব সংকটে দেখা গেল তৃণমূলকে। মোট ৬০ আসনের মধ্যে ২৮টিতে প্রার্থী দিয়েছিল বাংলার শাসক দল। কিন্তু ত্রিপুরা জনগন তৃণমূলকে একেবারেই সমর্থন করেননি। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নোটার (নান অফ দ্য অ্যাবভ অর্থাৎ ভোটযন্ত্রে নাম-থাকা উপরের কাউকেই নয়) চেয়েও কম ভোট পেয়েছেন জোরাফুলের প্রার্থীরা।
সূত্রে খবর,এই ফলাফলের জন্য মমতা ব্যানার্জীর দল তৈরিই ছিল। ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘অভিষেক আমাকে এখানে প্রচারে আসতে নিষেধ করেছিল। বলেছিল, তুমি গেলেও কোনো লাভ হবে না। ওখানে ওরা সব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তবুও আমি এসেছি আপনাদের ভালোবেসে। ’’
প্রসঙ্গত,২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। মোট ৬,৯৮৯ ভোট পেয়েছিল,শতাংশের হিসাবে যা ছিল ০.৩। এবার তৃণমূল করেছে ২৮টি আসনে। প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২১ হাজারের কিছু বেশি। শতাংশের হিসেবে যা প্রায় ০.৯। তৃণমূল আগেরবারের বিধানসভা ভোটের থেকে নিজেদের কিছুটা মেলে ধরলেও বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি।