সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মা না হ’তে পারলেই কি সারোগেসি? কি বলছে টলিউডের ন’তু’ন প্র’জ’ন্ম

স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দেওয়ার শারীরিক সমস্যা থাকে অনেকেরই। তাই ধীরে ধীরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে সন্তান জন্ম দেওয়ার আরও কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে, যার মধ্যে একটি হল সারোগেসি। সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের মুখ দেখেন অনেক বাবা-মা। বলিউডেও এমন দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে নাম উঠে এসেছে নিক-প্রিয়াঙ্কার। সারোগেসি পদ্ধতিতেই প্রিয়ঙ্কা মা হয়েছেন। আর এ নিয়ে এখন আলোচনার শেষ নেই।

তবে নিক-প্রিয়াঙ্কাই প্রথম নয়, এর আগে শিল্পা শেট্টি থেকে শুরু করে শাহরুখ স্ত্রী গৌরী খান, করণ জোহর, একতা কাপুর, সানি লিওনি, আমির খান, প্রীতি জিন্টার মতো আরও কয়েক বলি তারকার সন্তান জন্মেছে সারোগেসির মাধ্যমে। এ নিয়ে তারা কোনোরকম লুকোছাপা করেননি, বরং প্রিয়াঙ্কার মতো তাঁরাও প্রকাশ্যে এই পদ্ধতি অবলম্বনের কথা স্বীকার করেছেন।

বলিউডের তারকাদের ধ্যানধারণার পর এবার আসা যাক এ প্রসঙ্গে টলিউডি তারকাদের মন্তব্যে। সেখানে বিশেষ কাউকে এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে আগামী দিনের ছবিটা কি হতে চলেছে তা অবশ্য অনেকেরই জানা নেই। নতুন প্রজন্ম কি বলছে এ ব্যাপারে তারা কি আদৌ নিজের সন্তান ধারণে অন্যের গর্ভে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে?

এ প্রসঙ্গে দেবলীনা কুমার নতুন মা প্রিয়ঙ্কার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, “উনি যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খুশি হন, তা হলে সেটাই আসল কথা। ওঁর নিজের জন্য যা ভাল মনে হয়েছে, তা-ই করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা না করার অনুরোধ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। আমি মনে করি, ওঁর সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান করা উচিত।” কিন্তু ভবিষ্যতে দেবলীনা কি কখনও প্রয়োজন হলে প্রিয়াঙ্কার মতো সারোগেসির সাহায্যই নেবেন? এহেন প্রশ্নের উত্তরে দেবলীনা জানান, “আমি কখনও মা হওয়া নিয়ে কিছুই ভাবিনি। তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করাটাও ঠিক হবে না।”

দেবলীনার সুরে সুর মিলিয়ে মনোবিদ-অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন বলেন, “একজন ব্যক্তি কী ভাবে তাঁর সন্তানকে পৃথিবীতে আনবেন, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। বলিউডে সারোগেসি প্রচলিত হলেও, কোনো কারণে এখনও টলিউডে এই পদ্ধতিটি বিশেষ পরিচিত নয়। আমি আলাদা করে এ বিষয়ে কখনও কিছু ভেবে দেখিনি। হ্যাঁ, তবে এই পদ্ধতির সাহায্য নেব কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে আমার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার উপর।”