সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অ’দ্ভু’ত দোকান! না আছে বি’ক্রে’তা না আছে দরজা, মানুষ জিনিস নিয়ে রেখে যান টা’কা

প্রত্যেক বছর গুজরাটের এক গ্রামে একটি দোকানে দিনে ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। দোকানের মালিক হলেন সাঈদভাই। তিনি কখনো ক্রেতার কাছে টাকাও চাননি ৩০ বছর ধরে। সাঈদভাই গুজরাটে ছোটোদাইপুর জেলার কেভাদি গ্রামে তিরিশ বছর ধরে দোকানটি চালাচ্ছেন। তাঁর দোকানে মুদিখানার জিনিসপত্র, দুধ, কোল্ড ড্রিংকস, পানির ট্যাঙ্ক, দরজা, টাইলস, কাটলারি, হার্ডওয়ার প্রমুখ জিনিস পত্র রাখেন।

তিনি জানিয়েছেন,তিনি যখন দোকানটি শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর বয়স। কিন্তু তিনি কখনোই দোকানটি বন্ধ করেন না। তার মতে দোকানটি বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর চলছে।

গ্রামের মানুষজন তাঁর দোকান থেকে তাঁদের দরকারি জিনিসপত্র পান দিনে ২৪ ঘন্টায়। তিনি কখনোই তাদের কাছ থেকে টাকা চান না। তারা ইচ্ছামতো টাকা দিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, “ব্যবসা করতে গেলে বিশ্বাসের দরকার হয়। ব্যবসাতে আমি যদি কোনো রকম অন্যায় না করে থাকি, তাহলে আমার বড় কোন ক্ষতি হবে না। আমি জীবনে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না।”

আরো পড়ুন: Tata Sumo-র সঙ্গে কি স’ম্প’র্ক আছে কুস্তিগীরের? গাড়ির নামকরণের পিছনে রয়েছে অ’জা’না গল্প

তিনি আরো বলেছেন, তিনি যখন এরকম চিন্তা ভাবনা নিয়ে তাঁর দোকানটি শুরু করেছিলেন তখন গ্রামের মানুষরা প্রথমদিকে বিশ্বাস করতে চায় নি। অনেকে তো সন্দেহ শুরু করে বিভিন্ন রকম মন্তব্য শুরু করে। কিন্তু সাঈদভাই তিনি নিজে গ্রামের সবারই বাড়িতে গিয়ে বোঝান। তিনি গত ৩০ বছর ধরে বাড়িও যান না।

আরো পড়ুন: বউ কথা না শুনলে পে’টা’ন, স্বামীদের অ’দ্ভু’ত পরামর্শ দিলেন মহিলা মন্ত্রী, তী’ব্র ভাইরাল ভিডিও

তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে পাইলট, ছোটটি পড়াশুনা করছে। তাঁকে যখন জিগ্গেস করা হয়, আপনার দোকানে কী কখনো চুরি হয় নি? তিনি জানান , হ্যাঁ চারবছর আগে চুরি হয়েছিল। তবে চোর বাবাজি টাকা নেয়নি। সে শুধু ব্যাটারি নিয়েছে। হয়তো তাঁর ব্যাটারির দরকার ছিল।