সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আজব প্র’থা! জামাইকে যৌ’তু’ক হিসেবে এই গ্রা’মে দেওয়া হয় বি’ষ’ধ’র সাপ

বিয়েতে যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়া দুটোই খুবই বেআইনি। কিন্তু আজও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পণপ্রথা ভীষণভাবে চালু রয়েছে। আজও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌতুকের জন্য মেয়েদের উপর ভীষণ ভাবে অত্যাচার করা হয়। তবে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের মেয়েদের ভালোবেসে অনেক কিছুই দিয়ে থাকেন। খাট বিছানা আলমারি এমনকি সোনার গহনা দিয়ে থাকেন তারা মেয়েকে ভালোবেসে। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না, আমাদের দেশে এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে বিয়েতে জামাইকে যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয় বিষধর সাপ।

অবাক লাগলেও ঘটনাটি একেবারে সত্যি। বহু যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা মেনে মধ্যপ্রদেশের গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা জামাতাকে ২১ টি সাপ উপহার দেন। এই সাপ দেওয়ার ফলে বিয়ে খুবই সুখের হয় তাদের, না হলে তারা মনে করেন বিয়ে তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যাবার পরেই সাপের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন পাত্রীর বাবা।

বিভিন্ন গ্রামে খুঁজে খুঁজে বিষধর সাপ জোগাড় করে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর বিয়ের দিন একটি বাক্সে করে জামাতার হাতে তুলে দেন এই সাপগুলি। তবে শুধুমাত্র নিলেই হবে না, পুত্র-স্নেহে পালন করতে হবে এই সাপগুলিকে। ওই বক্সে থাকা সরীসৃপ গুলির কোনভাবেই মৃত্যু হলে চলবে না। যদি কারণবশত একটি সাপের মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে পরিবারের সকলকে শোক পালন করতে হবে, শোক পালন করার জন্য মাথা কামিয়ে ফেলতে হবে সকলকে।

গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা পেশায় বেদ অর্থাৎ তারা সাপ ধরার কাজ করে থাকেন। সাপের খেলা দেখিয়ে তারা অর্থ উপার্জন করে থাকেন তাই তাদের কাছে সাপ অত্যন্ত শুভ একটি প্রাণী। এই গ্রামের বাচ্চারাও সাপকে ভয় পায় না। তাই বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাপের অংশগ্রহণ করা খুবই একটি আশ্চর্যজনক বিষয় নয়। এই গ্রামবাসীদের মতে, বিয়েতে সাপ উপহার দিলে সর্প দেবীর আশীর্বাদে মেয়ের জীবনে কখনো অন্ন বস্ত্রের অভাব হয় না। আজীবন সুখের হয় মেয়ের জীবন।