এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। গোটা বিশ্বের সামনে আসতে চলেছে সন্ত রামানুচার্যের ২১৬ ফুটের বিশালাকার মূর্তি। যা স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি নামে পরিচিত। একাদশ শতকে ভারতে জন্ম নেওয়া হিন্দু ধর্মতত্ত্ববিদ এবং দার্শনিক ছিলেন শ্রী রামানুচার্য স্বামী। শ্রী রামানুচার্য স্বামীর ১০০৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে এই স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি স্থাপন করা হচ্ছে। হায়দরাবাদের নিকটস্থ সামশাবাদে ৪৫ একর জমির উপর ত্রিদন্ডী চিন্না জিয়ার স্বামী যে মন্দির স্থাপন করেছেন, সেখানেই এই মূর্তি স্থাপিত করা হয়েছে। এটিই বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম মূর্তি হতে চলেছে।
সন্ত রামানুচার্যের সহস্রাব্দী সমারোহ উপলক্ষ্যে ১৪ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি যজ্ঞের মাধ্যমে এই শুভ অনুষ্ঠানের সূচনা করা হবে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও চিন্না জিয়া স্বামীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মূর্তির উদ্বোধন করবেন। উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও, তিনি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ত রামানুচার্যের ১২০ কেজি সোনার মূর্তির উন্মোচন করবেন।
এই স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি তেলঙ্গনার সামশাবাদে ৪৫ একর জমির উপর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রবেশের মূল চারটি ফটক থাকব এবং একসঙ্গে প্রায় ৩ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবেশদ্বারের নকশা তেলঙ্গনার বিখ্যাত ‘কাগাদিয়া’ শৈলীর অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। প্রধান প্রবেশদ্বারেই ১৮ ফুট উচ্চতার হনুমান ও গড়ুড়ের মূর্তিও স্থাপন করা হবে। সামশাবাদের এই প্রাঙ্গণের প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই ২১১৬ ফুট উচ্চতার শ্রী রামানুচার্য স্বামীর মূর্তি। পদ্মফুলের উপর উপবিষ্ট অবস্থায় রামানুচার্যের মূর্তিটি পঞ্চধাতু দিয়ে তৈরি।
এছাড়াও ৪২ ফুট উচ্চতার তামার তৈরি একটি মিউজিকাল ঝর্ণাও স্থাপন করা হয়েছে। ভিতরে ৫৪ ইঞ্চি উচ্চতার ১২০ কেজি সোনার তৈরি শ্রী রামানুচার্যের অপর একটি মূর্তিও স্থাপিত থাকবে।