সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জামাই ষষ্ঠী কিন্তু জামাইদের জ’ন্য নয়, জানুন কেন পালন ক’রা হয় এই বিশেষ দিন

আজ রবিবার জামাইষষ্ঠী, তার তোড়জোড় চলছে কয়েকদিন থেকেই। সমস্ত মা-বাবা তাদের মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের জন্য শুভ কামনা করে এদিন। নিজের মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে ঘরে ফিরে আসে, বিশেষ এই দিনে।

কিন্তু জামাইষষ্ঠীর তাৎপর্য আসলে কি? আসল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ করে মেয়েদের মঙ্গল কামনার অনুষ্ঠান। এদিন জামাইষষ্ঠীতে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে জামাই উপস্থিত হয় শ্বশুর বাড়ি, একেবারে সাদা মসলিনের পাঞ্জাবি ও মালকোঁচা মারা ধুতি পড়ে।

হাতে থাকবে মিষ্টির হাঁড়ি, তার সাথে শ্বশুরবাড়িতে হবে পঞ্চ ব্যঞ্জন দিয়ে জামাইয়ের আদর অপ্যায়ন। ষষ্টি পুজোর পর হলুদ মাখানো সেই সুতো বেঁধে দেওয়া হবে জামাইয়ের হাতে, এই ধরনের বাঙালি রীতি চলে আসছে বহু বহু বছর থেকে। তবে যদি প্রশ্ন করা হয় মা ষষ্ঠীর সাথে জামাইয়ের শশুর বাড়ি আসার কি সম্পর্ক?

আরো পড়ুন: ঝড়বৃষ্টিতে দুই বিড়ালছানাকে নিজের সন্তানের মতোই আ’গ’লে রাখলেন মা মুরগি, মু’গ্ধ নেটদুনিয়া

এই উত্তরে বলতে হবে একটা সময় বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই রীতি চালু ছিল। যতদিন না মেয়ে পুত্রবতী হয়, ততদিন পর্যন্ত মেয়ের মা-বাবা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পদার্পণ করতে পারবে না। কিন্তু এই নিয়ম মেনে চললে হয়তো কয়েক বছরে একবার মুখ দেখা সম্ভব হবে মেয়ের। তাই থেকেই অনেকের মতে ষষ্ঠীর সূচনা।

বিশেষ করে সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাই ষষ্ঠী হিসাবে, ঠিক এই দিনেই নিয়ম মেনে মেয়ে তার বাপের বাড়িতে ফিরে আসে জামাইকে নিয়ে। মা ষষ্ঠীর পূজার মাধ্যমে দেবীকে তুষ্ট করা সম্ভব হয়, যাতে কন্যা খুব দ্রুত পুত্র মুখ দেখতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে এই নিয়মের বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে।

এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় যে কন্যা সম্প্রদান করে থাকে, সে মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে একবছর অন্নজল গ্রহণ করে না। তবে বড় বড় শহরে এই নিয়মের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না, বরং মেয়ে জামাইকে ডেকে এনে সমাদর করা এমনকি মেয়ে যাতে দ্রুত সন্তানের মুখ দেখতে পারে সেই কারণে মা ষষ্ঠীর পূজার্চনা করা। এই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মিলিয়ে যে দিন বাঙালির জীবনে উঠে এসেছে তার নামই জামাইষষ্ঠী।