যৌতুক বা পণ প্রথা হল কন্যার বিবাহে পিতামাতার সম্পত্তি,কন্যার হবু স্বামীকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। পাত্র-পাত্রীর বিবাহ হওয়ার সময়ে পাত্রীর জন্য তার পরিবার যা কিছু মূল্যবান সামগ্রী দেয়া , তাই হল যৌতুক।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী পণ নিতে গিয়ে ধরা পড়লে ৭ বছরের জেল হতে পারে। তবে এই আইনকে তোয়াক্কা না করেই ভারতের আনাচে কানাচে এখনও পণপ্রথার রমরমিয়ে চলছে। সম্প্রতি এই পণ সংক্রান্ত এক খবরে সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে।
রাজস্থানের নাগৌর জেলার ডিংসারা গ্রামের চার ভাই মিলে তাদের একমাত্র বোনের স্বামীকে ৮ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার পণ দিয়েছে। বরের বাড়ি রায়ধনু গ্রামে।ওই চার ভাইয়ের নাম অর্জুন রাম মেহরিয়া, ভগীরথ মেহরিয়া, উমেদ জি মেহরিয়া এবং প্রহ্লাদ মেহরিয়া এবং তাদের বোন ভানওয়ারী দেবী।
আরো খবর: দু’র্নী’তি ই’স্যু’তে মুখ খুলতেই হিরণকে তীব্র আ’ক্র’ম’ণ সায়নী ঘোষের
যৌতুকের মধ্যে অর্থ ছাড়াও রয়েছে জমি ও গয়না- ২ কোটি ২১ লক্ষ নগদ, ৪ কোটি মূল্যের ১০০ বিঘা জমি, ৭১ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ কেজি সোনা এবং ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৪ কেজি রুপো ও ৭ লক্ষ টাকা দামি একটি ট্রাক্টর।
এমনকি নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ৮০০টি রুপোর মুদ্রাও ভাগ করে দেওয়া হয়। যৌতুক গুলি ডিংসারা গ্রাম থেকে রায়ধনু গ্রামে পাঠানো হয় ১০০ টিরও বেশি বলদ ও উটের পিঠে করে।