সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বুড়িমার চকোলেট ব’ম্ব, কে এই বুড়িমা? জানুন এই মহিলার কা’হি’নী

আর হাতে মাত্র কয়েকটা দিন তারপরে আসতে চলেছে দীপাবলি। দীপাবলি মানে আলোর ঝলকানির, রোশনাই সাথে বাজি এবং পটকা। বিশেষ করে কালী পুজো মানেই আতশবাজি। বেশ কয়েক বছর হল সরকারের তরফ থেকে পুজোয় আতশবাজি কিংবা শব্দবাজি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি শব্দ বাজি ফাটানো হয় তাহলে হতে পারে তার শাস্তির জেল। যাইহোক বাজির কথা উঠলে পরে মনে আসে বুড়িমার চকলেট বাজির কথা ৪০ থেকে ৯০ এর ছেলেদের কাছেই প্রিয় ব্র্যান্ড ছিল একসময় “বুড়িমার চকলেট”, আসলে এই বাজি বানানোর পিছনে ছিলেন একজন নারী।

কে সেই নারী জানেন কি? এই প্রতিবেদনে আমরা সেই নারীর কথাই তুলে ধরব। আসলে “বুড়িমার বাজি” অর্থাৎ এই বুড়িমার আসল নাম হলো অন্নপূর্ণা দেশ যিনি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তবে দেশভাগের সময় তিনি এপার বাংলায় চলে আসেন। তার আশ্রয় হয়েছিল পশ্চিম দিনাজপুরের ধলদিঘী সরকারি ক্যাম্পে। এর পরেই তার জীবনে আসে আসল সংগ্রাম।

স্বামীকে হারানোর পর প্রথম দিকে তার জীবনে যেন এক বেঁচে থাকার লড়াই শুরু হয়। জীবন কাটানোর জন্য তিনি প্রথমে সবজির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি চলে আসেন গঙ্গারামপুর থেকে সোজা বেলুড়ে এবং সেখানেই শুরু করেন বিড়ি বাঁধাইয়ের কাজ। কাজ করতে করতেই তিনি ৯০০ টাকা দিয়ে একটি দোকান কেনেন এবং সেখানেই রং থেকে প্রতিমা সমস্ত কিছুর ব্যবসায়ী তিনি শুরু করেন।

এরপর আস্তে আস্তে শুরু করেন বাজির ব্যবসা। প্রথম দিকে তিনি বাজি কিনে এনে দোকানের সাজিয়ে রেখেছিলেন তবে বাজি ব্যবসা করার জন্য পুলিশের অনুমতি দরকার, সেই অনুমতি না থাকার জন্য প্রথম দিকে তার দোকান পুলিশে ভেঙে দেয়।

কিন্তু কথায় আছে মনে যদি জোর থাকে তাহলে সবকিছু বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এত কিছু হওয়ার পরেও তিনি হার মানেননি। তিনি সমস্ত কিছুর অনুমতি নিয়ে বাজে বিক্রি শুরু করেন। তবে বাজি বিক্রি করলেও বাজি তৈরি করতে কিন্তু তিনি পারতেন না। বাজি তৈরি করার কাজে তাকে প্রথমে সাহায্য করেছিল বাঁকুড়ার আকবর আলি।

বাজি তৈরি শেখার পরেই একদম কেল্লাফতে। বাজারে চলে এলো নতুন ব্র্যান্ড “বুড়িমা”। চারিদিকে বুড়িমার চকলেট বোম এর আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ল ডানকুনিতে জমি কিনে নিয়ে রমরমিয়ে চলল ব্যবসা। বর্তমানে তিনি নেই কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর সেই ব্র্যান্ড অর্থাৎ “বুড়িমার চকলেট” কিন্তু এখনো মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।