সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চাকরি দেওয়ার নাম করে টা’কা তুলেছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ ছেলে, এখন শো’ধ করছেন বৃদ্ধ বাবা

ছেলে তৃণমূল করত, বাবাও তৃণমূল করত। কিন্তু দুইজনের পথ ছিল আলাদা।ছেলের ধারেপাশে যেত না বাবা। ছেলের ওপরে অভিযোগ উঠেছে যে চাকরি দেওয়ার নাম করে সে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে।

এখন ছেলে জীবিত নেই, তার কারণেই সেই সব টাকা এখন শোধ করছে বাবা, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরেরভিবান পুরে। এই অবস্হার শিকার কেন? অনেকেই দাবি করে সেই মৃত তৃণমূল নেতা নাকি চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকেই টাকা তুলেছিল।

শোনা যায় অনেককে চাকরি করেও দিয়েছেন সে, কিন্তু তার আকস্মিক মৃত্যুর কারণে সমস্ত কিছু আটকে যায় , এরপরেই যারা টাকা দিয়েছিল তারা আবার ফেরত আসে মৃত তৃণমূল নেতার বাড়িতে জোড়জবরদস্তি করে ও তার বাবার ওপরে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

আরো পড়ুন: ফে’র সিনেমায় ফিরছেন বাবুল সুপ্রিয়, অভিনয় করবেন স’ৎ রাজনীতিবিদের চ’রি’ত্রে

এখন ছেলের এই কাজের জন্য জমি জমা বিক্রি করে মানুষের টাকা ফেরাচ্ছেন বাবা। শোনা যায় তার ছেলের নাকি ঘনিষ্ঠতা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সাথেও। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে, এই খবরে মানুষ এখন আরও বেশী চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে।

তৃণমূল নেতার বাবার নাম চাদহরি প্রধান জানায়, আমার সাথে ছেলের সম্পর্কই ছিলনা, কথা বন্ধ ছিল, ওর বাড়িতে পর্যন্ত যেতাম না ৭-৮ বছর। হঠাৎ করে মারা যাওয়ার পর এক দুইবার গিয়েছি। কিন্তু চাকরির ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। ওর মৃত্যুর পরেই আমার ওপরে চাপ আসছিল।

প্রথমে ওর ঘরে থাকা জিনিস পত্র বেচে কিছু দেনা শোধ করেছি। এবার আর কোনো উপায় না পেয়ে আমার নিজের সম্পত্তি বেঁচে ধার দেনা শোধ করছি। লোকের মুখে শোনা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে নাকি ছেলের যোগ ছিল।

কিন্তু আমি সেই ব্যাপারে কিছুই জানি না। কারণ ছেলের সাথে আমার কোনো সম্পর্কই ছিল না। এখনও পর্যন্ত ৫০০ জনের টাকা ফেরত দিয়েছি। কেউ লাখ টাকা দিয়েছে, কেউ ৫০ হাজার। শেষপর্যন্ত কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না।