সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১০০ দিন শুধু ঘু’মি’য়ে আ’য় করলেন ৬ লক্ষ টা’কা, এই মেয়েই দেশের মধ্যে বে’শি ঘুমকাতুরে

বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক ও ঘুমকাতুরে একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে। তবে এই ঘুমকাতুরে বাঙালির ঘরেই এলো সেরা ঘুমকাতুরে প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ট শিরোপা। সম্প্রতি একটি ম্যাট্রেস সংস্থার তরফ থেকে দেশব্যাপী ঘুমনোর প্রতিযোগিতার আয়োজিত হয়। প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ প্রতিযোগী তাতে অংশ নেয় সেই প্রতিযোগিতায়। আর সকলকে হারিয়ে সেরা ঘুমকাতুরের শিরোপা পেয়েছেন হুগলির শ্রীরামপুরের ত্রিপর্ণা। টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে সকলের থেকে ৬ লক্ষ টাকার পুরস্কার নিজের পকেটে পুরলেন তিনি। জানা যায়, ত্রিপর্ণার ঘুমকাতুরে মেয়ে বলে একটা বদনাম ছিল। সে নাকি খুব ঘুমোতে পারে।

এমনকি একেকবার পরীক্ষা দিতে বসেও ঘুমিয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ত্রিপর্ণাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ঘুম নিয়ে অনেক মজার ঘটনা রয়েছে তাঁর জীবনে। পরীক্ষার হলে কখনও ঘুমিয়ে পড়েছেন। ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনেও ঘুমিয়ে পড়ার নজির রয়েছে তাঁর। তা নিয়ে হাজারো কটাক্ষ শুনতে হলেও, ঘুমের সঙ্গে কখনও আপস করেননি তিনি। তিনি নিজের ঘুম ঠিক ঘুমিয়ে নিতেন। আর তাঁর এই ঘুমই এনে দিয়েছে তাকে ৬ লক্ষ টাকা।

তিনি আরো জানান যে, তিনি বর্তমানে একটি আমেরিকান কোম্পানিতে কাজ করছেন। সেখানে তাঁকে রাতে কাজ করতে হয়। আর তাই সে সারাদিন ধরে ঘুমিয়ে নেন। আর তাই এই প্রতিযোগিতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা মাত্রই তিনি অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে ১৫ জনের মধ্যে সিলেক্ট হওয়ার জন্য পান এক লক্ষ টাকা। এবং পরে টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে পান আরো পাঁচ লক্ষ টাকা।

আরো পড়ুন: অবিজেপি সরকার আসবেই ২৪-এ! মোদিকে হা’রা’নো’র প্র’তি’শ্রু’তি মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি তাঁর বদনামকে কাজে লাগাতে পেরেছেন তাই তিনি খুব খুশি।ত্রিপর্ণা বলেন, সেখানে কোন প্রতিযোগীর ঘুম সবচেয়ে গভীর, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণকরা হয়। আর তাতে সবথেকে বেশি নম্বর পান তিনি। ১০০-র মধ্যে তাঁর ঘুমের স্কোর ছিল ৯৫। এমনকি ফাইনালে তাঁর ঘুম পর্যবেক্ষণ করতে ম্যাট্রেস সংস্থার তরফে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়।

আর সব পরীক্ষাতেই তিনি সফল হন। তাই শেষ অব্দি ওই সংস্থা তাকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করে এবং তাকে তাঁর প্রাপ্য পুরস্কার তুলে দেন তার হাতে। তবে ত্রিপর্ণা আরো একটা কথা বলেন যে এই কম্পিটিশনে সে অনেক কিছু শিখেছে। বিশেষ করে নিজের সাস্থ্য সম্পর্কে। যা তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে আগামী দিনে বলে তিনি মনে করছেন।