সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অলিম্পিকে রুপো জ’য়ী মীরাবাই চানুর গ্রামে এখনো অ’মি’ল খাওয়ার জল! নেই কোনো পা’কা রাস্তা

মনিপুরের ইম্ফল শহর থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক পাহাড়ি গ্রাম, নাম তার নংপক কাকচিং। এই পাহাড়ী গ্রামে যেতে হলে এখনো হাঁটাপথই ভরসা। বিশুদ্ধ পানীয় জল এখনও গ্রামে প্রতি বাড়িতে পৌঁছায়নি। পাকা রাস্তার বন্দোবস্তও নেই। অথচ এই পাহাড় থেকেই এসেছেন অলিম্পিকে রুপোর পদকজয়ী মীরাবাঈ চানু। তিনি এই গ্রামেরই মানুষ। তার নামে উজ্জ্বল হয়েছে এই গ্রাম।

প্রত্যেকবার ভোটের সময় প্রত্যেক দলের প্রার্থীরা এই গ্রামে এসে গ্রামের মানুষদের অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তবে কোনোবার তা পালন হয় না। গ্রামের মানুষের অনেক অভাব অভিযোগ রয়েছে। সে সব শোনার সময় নেই কারোর। তাই এখন যেন বিধানসভা নির্বাচন ক্রমশ প্রহসন হয়ে উঠেছে এই গ্রামের মানুষদের কাছে। মীরাবাঈ চানুর মা বলেছেন, গ্রামে নেই খাবার জল। প্রতিবেশী হাজার টাকা দিয়ে জল কিনতে হয়।

বর্ষা-বাদলে গ্রামের রাস্তা আর হাঁটার যোগ্য থাকে না। আপদে-বিপদে কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়। এই সম্পর্কে বহুবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। গ্রামের স্থানীয় ক্লাবের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ভোটের আগের প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়।

আরো পড়ুন: এবার ম্যাট্রিমোনিয়াল সা’ই’টে ফাঁ’দ পা’ত’ছে প্রতারকরা, এই কাজগুলো থেকে বি’র’ত থাকুন

মীরাবাঈ চানু পদক পাওয়ার পর গ্রামের পাকা রাস্তা পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় কাজ শুরু হলেও মাত্র 15% কাজ হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বছরের মার্চের মধ্যেই রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। তবে সে গুড়ে বালি। রাস্তা, সরকারি জলের পাইপলাইন, কোনো কিছুর ব্যবস্থা এখনো হলো না।

কোনোরকমে গ্রামের রাস্তার গর্ত বোজানো হয়েছে। মীরাবাঈয়ের নামে গ্রামে একটি জিমনাসিয়াম তৈরি করার কথা বলেছিল সরকার। তবে সেটাও কথার কথা হয়ে রয়ে গিয়েছে। শুধু রাস্তা কিংবা জল নয়, শিক্ষাব্যবস্থাও এই গ্রামের একটি মারাত্মক সমস্যা। বলতে গেলে বছরের পর বছর ধরেই ‌ এই গ্রাম প্রশাসনের অবহেলার শিকার। সরকার আসে সরকার যায়, গ্রামের উন্নতি কিছুই হয় না।