সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নদীর মাঝখানে বালির টি’লা, গঙ্গার এই হাল দে’খে চি’ন্তি’ত বিজ্ঞানীরা

বৈশাখ মাস আসতে এখনও ঢের দেরি থাকলেও মার্চ মাসেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তাপপ্রবাহ। মে-জুনের মতো গরম এখনই। তাহলে তখন কি হবে সেই কথা ভাবতেই আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে উঠছে।

আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গঙ্গায়। ভারতের প্রধান নদী গঙ্গাই এখন শুকিয়ে যেতে বসেছে। এই ভয়াবহ দৃশ্যের দর্শন মিলল বারাণসীতে। ইতিমধ্যে বারাণসীতে পারদ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাড় করেছে।

আর তার জেরে গঙ্গাও যাচ্ছে শুকিয়ে। গত কয়েক বছরে মে-জুন মাসে বারাণসীর রামনগরে গঙ্গার মাঝামাঝি যে বালির টিলাগুলি চোখে পড়ত সেগুলি এখনই দেখা যাচ্ছে। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ তথা বিজ্ঞানীদের।

এ প্রসঙ্গে বিএইচইউ মহামনা মালব্য গঙ্গা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও নদী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বিডি ত্রিপাঠী বলেন, “যেহেতু গঙ্গায় জলের প্রবাহ ক্রমাগত কমছে, তাই সেখানে পলি জমার হার বেড়ে যাচ্ছে। সে কারণেই বালির টিলাগুলি দেখা যাচ্ছে।”

আরো পড়ুন: ২৬/১১ মুম্বই হা’ম’লা’য় ধৃ’ত কাসভের ঠিকানা ভারতকে দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ, স্বী’কা’র ইমরানের মন্ত্রীর

তিনি আরও বলেন, “এই হারে জল কমে যাওয়ায় গঙ্গা দূষণ বেড়ে যাবে। তার জেরে বিপর্যস্ত হবে জীব বৈচিত্র। এজন্য অবিলম্বে বৃষ্টির জল যেমন সংরক্ষণ করার দিকে নজর দিতে হবে, তেমনই ভূগর্ভস্থ জল সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা উচিত।”

জলের প্রবাহ কমে টিলাগুলি দৃশ্যমান হওয়ার পিছনে চারটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।

প্রথমত, উত্তরাখণ্ডে একাধিক বাঁধ তৈরি করা হয়েছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য।

দ্বিতীয়ত, হরিদ্বারের কাছে ভীমগোদা খাল থেকে জল অন্য রাজ্যে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তৃতীয়ত, গঙ্গার দু’পাশে খাল কেটে সেচের কাজে জল ব্যবহার করার কারণে মূলস্রোত কমছে।

চতুর্থত, গঙ্গা থেকে কতটা জল ব্যবহার করা যাবে, সেই বিষয়ে কোনো জাতীয় নীতি নেই। ফলে মানুষের দ্বারাই রীতিমতো যেন নিঃশেষ হয়ে যেতে বসেছে মাতৃরূপী গঙ্গা। আর তাতে কমতে বসেছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর।