বর্তমান সময়ের চারপাশ যদি একটু ঘুরে দেখা যায়, দেখা যাবে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে প্রায় সব কিছুর। আগের মত আর কিছুই যেন এক নেই, বদলে গেছে নিয়ম কানুন, বদলে গেছে ধ্যান-ধারণা। কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে আমাদের এই পরিবর্তনকে দুহাত ভরে গ্রহণ করতেই হবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না মানুষ পরিবর্তনশীল, কিন্তু পরিবর্তনের শুরু সবাইকে মেনে নিতে পারবে? একটা সময় নিয়ম ছিল, বলা যেতে পারে সমাজের সৃষ্ট নিয়ম, প্রায় জন্মগত নিয়ম।
ছাত্র দোষ করলে শিক্ষক তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখে সর্বদা। এমন অনেক ধরনের উদাহরণ আমরা দেখেছি,যেখানে কিনা ছাত্রকে সঠিক পথে চালনা করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা শাসন করতে পারত স্বাধীনতার সাথে। কিন্তু ওই যে বললাম সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটেছে সবকিছুর,ঠিক তেমনভাবেই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষকরা ছাত্রদের গায়ে হাত তুলতে পারেনা শাসন করার ভঙ্গিমায়। এটাই এখন যেন সমাজের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু অবাধ্য ছাত্রদের তো পথে আনা শিক্ষকদের কাজ, তাহলে গায়ে হাত তুলে শাসন করতে না পারলে অন্য পন্থা তো অবলম্বন করতেই হবে। আর সেই পরিবর্তনের সূত্রপাত নিয়েই একাংশের প্রশ্ন, নিন্দার ঝড়। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুলের ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হল, স্কুলে মোবাইল ব্যবহার করার অপরাধে সেই ছাত্রের ফোন পুড়িয়ে দিলেন শিক্ষিকা।
আরো পড়ুন: ফে’র একবার সূর্যকে ছুঁ’য়ে দেখতে চলেছে নাসার সৌরযান! আজই সেই দিন
আর সেই ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হতেই বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত সামনে আসছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে মোবাইল আনার অপরাধে একের পর এক মোবাইল ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে আগুনে। এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিটি প্লাটফর্মে ভাইরাল।
View this post on Instagram
ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এমনকি টিক টক এ পর্যন্ত ভাইরাল ভিডিও। শিক্ষকরা ছাত্র দের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আগুনের ছুড়ে ফেলেছে, আর্থিক অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে সকল ছাত্র। সাধের মোবাইল ফোন, পুড়িয়ে দিলে নষ্ট করে দিলে কার মন খারাপ হবে না? স্বাভাবিকভাবেই না পুড়িয়ে ফেলার আবেদন করে ছাত্ররা,কিন্তু সে সবকিছু কানে না দিয়েই শিক্ষিকা নিজের ভঙ্গিতে নিজের কাজ করে চলে।
আরো পড়ুন: অ্যাম্বিলিক্যাল ক’র্ডে’র রক্ত প্রতিস্থাপন করে রো’গী মু’ক্তি পেলেন এ’ই’ড’স থে’কে!
ইন্দোনেশিয়ার একটি বোর্ডিং স্কুল এর এই ঘটনা দেখে নিতে জেনেরা মুখ খুলেছেন। অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করছেন।অনেকে হয়তো বলছেন কোনভাবেই শিক্ষিকার অধিকার নেই অন্য কারোর মোবাইল নষ্ট করার।আবার অনেকে বলছে হয়তো বোর্ডিং স্কুল এর শাস্তি দেওয়ার নিয়ম এটাই, এরপর থেকে তারা এই ভুল কাজটি হয়তো আর করবে না। শিক্ষিকার পক্ষে এমনকি বিপক্ষেও কথা বলেছে নেটিজেন এরা, তাই একে অপরের মতামত ভাগ করে নিচ্ছে স্যোশাল মিডিয়ার পর্দায়।