শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বহু বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর গোলযোগ, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বারবার সরব হচ্ছেন। বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া একপ্রকার থমকে রয়েছে। স্বস্তি পাচ্ছেন না ১৫ বছর আগে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও! সম্প্রতি শিক্ষাদপ্তরের তরফ থেকে জারি হওয়া একটি নোটিশে মাথায় হাত পড়েছে ১৫ আগে নির্বাচন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ অর্থাৎ ১৫ বছরেরও আগে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষকদের থেকে বর্ধিত বেতন ফেরত চাইছে শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জারি হওয়া এই নোটিশ দেখে শিক্ষক শিক্ষিকারা মহা বিপদে পড়েছেন। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ, আজ থেকে পনেরো বছর আগে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জন্য প্রযোজ্য নিয়ম ছিল, চাকরি পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে শিক্ষকদের। কিন্তু এতদিন পরেও দেখা গিয়েছে শিক্ষকেরা সেই নির্দেশ পালন করেননি।
সময়ের সাথে সাথে মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। এই ইনক্রিমেন্ট এবার ফেরত দিতে হবে তাদের। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্ট প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় সীমা বাড়িয়েছিল। তবে আইনি জটিলতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আর ট্রেনিং নিয়ে উঠতে পারেননি। যার ফলে এবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। তবে শিক্ষা দপ্তরের এমন সিদ্ধান্তের বিতর্ক দানা বাঁধছে।
এই নির্দেশের আওতায় যারা আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নবম, দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কড়া নির্দেশ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ না নেওয়ার কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বর্ধিত বেতন ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।