সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সলমনকে মা’রা’র ছ’ক তৈরি করাই ছি’লো মুসেওয়ালার হ’ত্যা’কা’রী’দের: পাঞ্জাব পুলিশ

বলিউডের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে বলে যাঁর কথা অবশ্যই বলতে হবে তিনি হলেন সলমন খান। প্রায় কয়েক দশক ধরে সুপার ডুপার হিট অভিনয় করে আসছেন তিনি। বর্তমানেও তাঁর ছবি মনেই সুপারহিট। তাঁকে সকলেই ভাইজান বলে এক ডাকে চেনে। অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী তাঁর। কিন্তু শুধু ভক্ত নয় শত্রুও কিছু কম নেই ভাইজানের। সম্প্রতি পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গত ২৭ শে মে, একে-৪৭ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।

এমন নৃশংস ঘটনার রেশ গোটা দেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি আর তাঁর মধ্যেই আসে আরো এক গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতোই খবর। জানা যায়, সলমন খানকে ওই দুষ্কৃতীরাই মারতে চান। শুধু তাঁকে নয় তাঁর বাবা সেলিম খানকেও খুন করার হুমকি আসে। বলিউড সুপারস্টার সলমন খানকে একই ধাঁচে হত্যা করবার ছক কষে সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকারী। আর এই জন্য মুম্বইয়ে গিয়ে রেইকি পর্যন্ত করে এসেছিল সে, রবিবার এমনটাই জানিয়েছে পঞ্জাব পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক।

গত জুন মাসে সলমন খান ও তাঁর পিতা সেলিম খানকে প্রাণে মারার হুমকি চিঠিটা আসে। সেদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেলিম খান। সেই সময়ই গেইটি গ্যালাক্সি (সলমনের আবাসন)-এর কাছের এক পার্কের বেঞ্চে সেই বেনামি চিঠি পড়েছিল। যা সলমন খানের বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসে। তারপর সেটি তুলে দেওয়া হয় মুম্বই পুলিশের হাতে। সেই চিঠিতে সলমনের উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘তোমার পরিণতিও হবে মুসেওয়ালার মতোই’।

আরো পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকের পাকিস্তানের হা’র নিয়ে প্র’শ্ন রামিজ রাজাকে, ক্ষে’পে লাল পাকবোর্ড ক’র্তা

তবে এই শনিবার নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মুসেওয়ালা হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত দীপক মুন্ডি এবং তাঁর দুই সাগরেদ কপিল পণ্ডিত এবং রাজিন্দর। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ-নেপাল বর্ডার থেকে গ্রেফতার হন পুলিশের হতে। এরপর পঞ্জাব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের, মানসার আদালত সাত দিনের পুলিশ কাস্টডি মঞ্জুর করেছে গ্রেফতার তিনজনের। আসলে এর মূল মাথা হিসেবে জানা যাচ্ছে লরেন্স বিষ্ণোই বলে এক ব্যাক্তিকে। তাঁর নির্দেশই হচ্ছে এসব কাজ।

পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানান মুসেওয়ালা হত্যায় অভিযুক্ত অন্যদেরও জেরা করা হবে সলমন খানের হত্যার প্ল্যানিং-এর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য। এই কপিল পণ্ডিতই মুম্বাইয়ে জান সলমন খানকে মারার উদ্দেশে একথাও বলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয় সলমন খানের , সলমনের আইনজীবীকেও একইভাবে প্রাণে মারার উড়ো চিঠি দেওয়া হয়।

কৃষ্ণসার হত্যা মামলার অভিযুক্ত সলমন দীর্ঘদিনের টার্গেট লরেন্স বিষ্ণোইয়ের। ২০১৮ সালে তিহার জেলে বন্দি এই দাগী আসামি ক্যামেরার সামনে সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলবার কথা বলেছিলেন। তাই এই চিঠি পাওয়ার পর আরো বেশি করে ভাইজানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যাতে কোনো আক্রমন করার সুযোগই না পান দুষ্কৃতীরা তার জন্য ২৪ ঘণ্টা ভাইজানের অ্যাপার্টমেন্টে থাকছে পুলিশি পাহারা। হিন্দুস্থান টাইমসকে এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এমনই জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।