ভারত কিংবা পাকিস্তান এই দুই দেশের মধ্যে টক্কর হয়তো আজীবনই থেকে যাবে। সেটা যেকোনো ক্ষেত্রই হোক। পাকিস্তান যেমন ভারতের হার দেখতে পছন্দ করেন তেমন ভারতীয়রাও পাকিস্তানের হার দেখতে পছন্দ করেন বলে অনেকেই মনে করেন। তবে ভারত বা পাকিস্তান ছাড়াও অন্য কোনো দেশের সাথেও যদি পাকিস্তান হেরে যায় তাতেও তাঁরা এত ক্রুদ্ধ হতে পারে তা এই প্রথম দেখা গেলো। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের হার প্রসঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধান রামিজ রাজা কে কিছু কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি মেজাজ হারান বলে জানা যায়।
সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে পাকিস্তানের হার হয়। আর এই হারার পর এক ভারতীয় সাংবাদিক তাঁকে খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন করেন, তিনি বলেন যে, ওই দেশের মানুুষ অখুশি এই হার নিয়ে, তাদের কী বলতে চাইবেন? এই প্রশ্ন যদি খুব খারাপও লেগে থাকে তিনি উত্তর না দিয়েই চলে যেতে পারতেন কিন্তু না তাঁর প্রতিক্রিয়া মোটেই শোভনীয় ছিল না।
তিনি ওই সাংবাদিকের ফোন কেরে নেন রেগে গিয়ে, পরে আবার ফিরিয়েও দেন কিন্তু উত্তরে তিনি বলেন সাংবাদিককে, আপনি নিশ্চিত ভাবে ভারতীয়, আপনি তো খুশি হয়েছেন পাকিস্তান হেরেছে বলে! পাশ থেকে রামিজ রাজার সাঙ্গোপাঙ্গোদের বলতে শোনা যায় যে পাকিস্তানে মানুষ আদৌ অখুশি নয়, তারা আনন্দিত দল ফাইনালে গিয়েছে বলে।
আরো পড়ুন: পদ্মার ইলিশ শীঘ্রই ব’ন্ধ হ’তে চলেছে! পারলে এখনই বাড়ি আনুন
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ওই সাংবাদিকের প্রশ্নটি সত্যি কি এতই অযৌক্তিক ছিল যে তিনি এমন রিয়াকশন দিলেন? সে দিন সকলেই দেখেছি যে, শ্রীলঙ্কার অল্প রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও অত রান করা, বা ১৭০ চেজ করতে গিয়ে রিজওয়ানের ঠুকঠুক ব্যাটিং, এটা কি আদৌ ভালো চোখে নেবেন পাক নাগরিকরা?
আর রামিজ রাজার এমন প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট ভাইরাল এখন নেট দুনিয়ায়। আসলে এটা প্রায়ই দেখা যায় যে, সাংবাদিকতা পেশায় সাথে জড়িত মানুষদের তাঁদের কাজের জন্য এমন প্রশ্ন করতেই হয়। আর বার বার কারো ক্রোধের শিকার হতে হয়।
क्या मेरा सवाल ग़लत था – क्या पाकिस्तान के फ़ैन नाखुश नहीं है – ये बहुत ग़लत था एक बोर्ड के चेयरमैन के रूप में – आपको मेरा फ़ोन नहीं छीनना चाहिये था – that’s not right Mr Chairman Taking my phone was not right @TheRealPCB @iramizraja #PAKvSL #SLvsPAK pic.twitter.com/tzio5cJvbG
— रोहित जुगलान Rohit Juglan (@rohitjuglan) September 11, 2022
যা অত্যন্ত অন্যায়জনক। এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ওই সাংবাদিক রোহিত জুগলান তিনি টুইটারে সেই ফুটেজ পোস্ট করে বলেন যে, কোনওভাবেই ফোন কেড়ে নেওয়া উচিত ছিল না। আর এই বিষয় নিয়ে সরগরম গোটা নেট মহল।