সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রেল যাত্রীদের জন্য দুঃখের খ’ব’র! ট্রেনে আর এই সু’বি’ধা মি’ল’বে না

দূরপাল্লার রেলযাত্রীদের জন্য হঠাৎই এক দুঃসংবাদ। গত দুবছর ধরে যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করা হল ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে । এমন কথা বলা হয়েছিল যে বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। কিন্তু শেষমেষ অর্থনৈতিকভাবে প্রকল্পটি লাভজনক হল না। জানিয়ে দেওয়া হল ভারতীয় রেলের ওয়াইফাই প্রজেক্ট বাতিল করা হচ্ছে।

বিনামূল্য পরিষেবার দেওয়ার আশ্বাস:

২০১৯ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীষুষ গোয়েল ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্র সাড়ে চার বছরে ট্রেনের ভিতরে ওয়াই-ফাই সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে। গত কয়েকবছর ধরে যাত্রীদের সুবিধার কথা বলে ট্রেন এবং বিভিন্ন স্টেশনে ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা করছিল ভারতীয় রেল। দেশের সব স্টেশনে ওয়াই-ফাই সংযোগ করার পরে সেই পরিষেবা ট্রেনগুলিতেও বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু কারণে এই পরিষেবাকে সরিয়ে দেওয়া হল রেল প্রকল্প থেকে।

প্রকল্পই বাতিল:

চলন্ত ট্রেনে ইন্টারনেট সংযোগের প্রকল্পটি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে, কারণ প্রকল্পটি সেভাবে লাভজনক নয়। এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, পাইলট প্রকল্পের আওতায় সরকার হাওড়া-নয়াদিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেসে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দিয়েছে।

প্রকল্প লাভজনক নয়:

প্রযুক্তির জন্য যে টাকার প্রয়োজন আর তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে সমস্ত ব্যবস্থাদির প্রয়োজন, যেমন ব্যান্ডউইথ চার্জ, সেই সব দিক থেকে দেখতে গেলে প্রকল্পটি কোনওভাবেই লাভজনক করা যাচ্ছে না। তাছাড়াও ট্রেনে যাত্রীদের প্রদত্ত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথও অপর্যাপ্ত ছিল। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ট্রেনে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত সাশ্রয়ী প্রযুক্তি নেই।

এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে:

২০১৩ সালে বিনামূল্যে ওয়াই ফাই পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছিল হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে। ২০১৬ সালে প্রথম ওয়াই ফাই পরিষেবা দেওয়া হয় মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে। পরবর্তীকালে ১৬ মাসের মধ্যে ১৬০০-র বেশি স্টেশনে এই পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে দেশের ২৩ টি বড় স্টেশন এবং ট্রেনের ইন্টারনেট ব্যবহার খতিয়ে দেখা হয়।

তাতে দেখা যায়, নেটে বেশিরভাগ মানুষই নীল ছবি দেখছেন। যদিও আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগেই রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া যাবে না। বলা হয়েছিল ট্রেনে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে গেলে টাকা দিয়ে ইন্টারনেট অন করা যাবে। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল রেল।