ঘরে বসে বসে ইউরোপ আমেরিকার বহু ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিতেন গরিবের রবিনহুড। তাকে এই নামটা এই কারণে দেওয়া হয়েছে কারণ তিনি এই সমস্ত টাকা নিজের জন্য ব্যবহার করতেন না। বরং গরিব মানুষের একাউন্টে পাঠিয়ে দিতেন। তাই তাকে নাম দেওয়া হয়েছিল স্মাইলিং হ্যাকার।
এই ব্যক্তির নাম হামজা বেন্দেলাজ। তার বাড়ি আলজেরিয়ার তিজি ওযুতে। তিনি বি এক্স ওয়ান ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন তিনি। পড়াশোনাতে দারুন মেধাবী ছিলেন। তিনি পাঁচটি ভাষায় কথা বলতে পারেন। প্রযুক্তিতে তুখর এই যুবক ব্যাংক থেকে টাকা লোপাট করতে ওস্তাদ। তিনি ইউরোপ আমেরিকার ২০০ টি ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছিলেন বলে জানা যায়।
মনে করা হয় চৌদ্দ লক্ষ কম্পিউটার হ্যাক করেছিলেন এই ব্যক্তি। মোস্ট ওয়ান্টেড হ্যাকারদের তালিকায় একসময় দশ জনের মধ্যে তার নাম উঠে এসেছিল। তবে তিনি ছিলেন গরীব মানুষের ঈশ্বর। বিভিন্ন প্যালেস্তানিও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় তিনি লুটের টাকা বিলি করে দিতেন। তিনি কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য একটি ম্যালওয়ার তৈরি করেছিলেন।
আরো পড়ুন: দেশে তৈ’রি প্রথম বিমানবাহী রণতরী INS VIKRANT-র যাত্রা শু’রু হ’লো আনুষ্ঠানিক ভা’বে
২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে হ্যাকারদের কাছে দারুন জনপ্রিয় হয়েছিল এই ভাইরাস। যার নাম ছিল স্পাই আই বটনেট। অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট লগইন এর মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত। গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায় এর মাধ্যমে। এই ভাইরাস তিনি অন্যান্য জালিয়াতদের কাছে বিক্রি করেছিলেন।