সারা বিশ্বে ধ;র্ষ;ণ বেড়েই চলেছে। ছোট থেকে বড় সকল বয়সের মেয়েদের বা ছেলেদের উভয়ই এই নির্মম অন্যায়ের শিকার হতে দেখা যায়। বহু আন্দোলন বহু মানুষের চেষ্টার পর অনেক লড়াই করে তবে এই আইন আনা সম্ভব হয়েছে, যে – ছোটো ছোটো শিশুদের ধর্ষনের সাজা একমাত্র ফাঁসিই।
আর সেখানে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশেক গেহলট বলেন, “যবে থেকে ধ;;র্ষ;ক;দের ফাঁসিতে ঝোলানোর আইন প্রণয়ন হয়েছে, তবে থেকেই দেশে ধ;র্ষ;ণে;র পর খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।” উদাহণস্বরূপ তিনি নির্ভয়া কাণ্ডের কথা বলেন। তিনি বলেন – ” নির্ভয়া কাণ্ডের পর ধ;র্ষ;ক;দের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরই ধর্ষিতাদের খুনের ঘটনাও বৃ;দ্ধি পেয়েছে।
ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতে ধ;র্ষ;ক;রা নির্যাতিতাদের খুন করছে। দেশজুড়েই এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট আসছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি প্রবণতা।” অনেকেই তাঁর এই বক্তব্যকে অত্যন্ত অন্যায় মূলক, অসংবেদনশীল বলেছেন। এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এমনকী দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফ থেকে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল বলেন, “রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের উচিত ধ;র্ষ;ক;দে;র ভাষা ব্যবহার করা বন্ধ করা।
আরো পড়ুন: বিমানবন্দরে ঢুকতে গিয়ে বাধা, অপমানে বিমান বা’নি’য়ে ফেললেন যুবক
যেভাবে উনি নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে ঠাট্টা করেছেন, তাতে ধ;র্ষি;তা;দের মনে আঘাত দিয়েছে। আমরা অনেক কষ্ট করে, লড়াই করে এই আইন এনেছি যেখানে ছোট ছোট শিশুদের ধ’র্ষ’ক’কে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে – এভাবে উল্টো পাল্টা মন্তব্য না করে ওনার উচিত নিজের রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা আরো কঠোর করা। যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে। কারণ রাজস্থানেও প্রচুর ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
শুধু অশোক গেহলেট ই নন এর আগেও সমাজবাদী পার্টি নেতা মুলায়ম সিং যাদবও এই একই কথার ইঙ্গিত দেন। বলা চলে ধর্ষনের শাস্তি হিসাবে ফাঁসির বিরোধিতা করেন। তাঁর মুখেও বলতে শোনা যায় – ” ধর্ষণের জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়া ভুল। ছেলেদের ভুল হয়ে যায়। আমরা যদি ক্ষমতায় আসি, তবে আইনে পরিবর্তন আনব।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক বা নেতাদের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্যকে অনেকেই চূড়ান্ত নিন্দা করেছেন। মহিলা কমিশন থেকে তাই বলা হয় যে ” ধ”র্ষ”কদের ভাষা বলা বন্ধ করুন” । ধ;র্ষ;ণ সবচেয়ে ঘৃণ্য একটি ঘটনা। তাই তার শাস্তি সারাজীবন কঠিন থেকে কঠিনতম হওয়া উচিত।