সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাশিয়ায় Facebook ব’ন্ধ ক’রে দিলেন পুতিন

এককালে মানুষের প্রতিবাদ জানানোর অন্যতম একটি মাধ্যম ছিল সংবাদমাধ্যম। খবরের কাগজের মাধ্যমে অথবা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অনেক মানুষ প্রতিবাদ জানাত যেকোনো প্রসঙ্গতে। আজ সেই স্থান নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।

যেকোনো বিষয় নিয়ে আপনি যদি নিজের মন্তব্য প্রকাশ করতে চান তাহলে সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক। ফেসবুকে সাহায্যে আপনার কথা মুহূর্তে পৌঁছে যাবে হাজার হাজার মানুষের কাছে।

আজ এই প্ল্যাটফর্মকে সঙ্গী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন রাশিয়ার বিভিন্ন মানুষ। সারা দেশ জুড়ে যেখানে রাশিয়া নিন্দায় সরব হয়েছেন মানুষ সেখানে পিছিয়ে নেই রাশিয়াবাসীরা।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। অন্যদেশের বাসিন্দাদের সাথে সাথে রাশিয়ার বহু মানুষ প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। মিডিয়ায় সোচ্চার হচ্ছেন অনেকে। যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে অনেকে।

আরো পড়ুন: আগামী রবিবার সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত এই সেতু, জেনে নিন

এবার এই কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্য মাঠে নেমে বললেন স্বযং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলে ফেসবুক সম্পূর্ণ রাশিয়াজুড়ে। শুধু তাই নয়, টুইটারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাশিয়াতে। এছাড়া সেই দেশে একাধিক ওয়েবসাইট খোলা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রাশিয়ার বহু মানুষ ফেসবুকের পাশাপাশি অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছিল না। কিন্তু রাশিয়া সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, এখনো রাশিয়ার প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো নির্দেশিকা জারি করা হয়নি এই বিষয়ে।

কিন্তু ইউক্রেনের ওপর রুশ বাহিনীর হামলা চালানোর পর সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেছে।এই সবকিছুর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ফেসবুক এবং অন্যান্য অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে আরো একবার আঙ্গুল তোলা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপর। এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের উত্তাপ ক্রমশই বেড়ে চলেছে।

আরো পড়ুন: ইউক্রেনের সবচেয়ে ব’ড়ো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কে’ন্দ্রে রাশিয়ার মিসাইল হা’ম’লা, রইলো ভিডিও

এখনো পর্যন্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনে। গুলি এবং বোমা থেকে বাঁচানোর জন্য সাবওয়েতে আশ্রয় নিয়েছে বহু ইউক্রেনবাসী। জল ও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না কোনোভাবে। রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছে বহু ইউক্রেনবাসী।