ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে আট বছর পূর্ণ করেছেন। তিনি প্রতিকূলতাকে কখনও আমল দেননি। বরং প্রতিবন্ধকতা লঙ্ঘন করার প্রবণতাই তাঁর মধ্যে লক্ষ্য করা গিয়েছে৷
তিনি ২০২৪-এর নির্বাচনের ভিতও শক্ত করছেন ক্রমশ৷ উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে বিপুল ভোটে জয় এমনটিতেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে দেশের বৃহত্তর জনগণ তাঁর দলের পক্ষেই রয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় যে ভূমিকা মোদি নিয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোয়াড সম্মেলনে ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছেন মোদি।
পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি ইস্যু, চীন-ভারত সম্পর্ক, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) ক্রমাগত স্থবিরতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিগুলিকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছেন। মোকাবিলাও করেছেন।
যদিও কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো বিজেপি নেতাকে সরিয়েছেন, লালকৃষ্ণ আদবানির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু অতীতের সঙ্গে একেবারেই মেলেনি বর্তমান। বর্তমান কংগ্রেস নেতারা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে রাজনীতিকদের মতে, মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার কখনও টার্গেট করেছে হিন্দুত্ববাদকে, কখনও গ্রামীণ ভোটারকে। অন্যদিকে বিরোধী দলের শুধুমাত্র যে একটি শক্তিশালী মুখের অভাব রয়েছে তাই নয়, তাদের স্ট্র্যাটেজিরও অভাব রয়েছে।