এই বছরের গোড়া থেকেই দেখা যাচ্ছে একের পর এক অভিনেতা ও অভিনেত্রীর ছন্দপতন। কিছুদিন আগেই আমরা হারিয়েছি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। আর তার মধ্যেই আবারও একটি দক্ষ অভিনেত্রীকে হারালো বাংলা টলিউড। প্রয়াত হলেন টেলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছোটপর্দার জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া। অনেক নাম খ্যাতি যে পেয়েছিলেন তিনি হয়তো তা নয় কিন্তু তাঁর অভিনয় ছিল মুগ্ধ হওয়ার মতোই। তিনি বর্তমানে বেশিরভাগ মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতেন।
বহু ছোটপর্দার কাজ করেছেন তিনি। হটাৎ তাঁর চলে যাওয়া কেউ যেনো মেনে নিতেই পারছেন না। অনন্যা চট্টোপাধ্যায় – এর ঘনিষ্ট বা বন্ধু বলা চলে, অনিন্দিতা সর্বাধিকারি তার এই প্রয়াণ নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন বৃহস্পতিবার সকালে। তাঁর পরিচালনাতেও কাজ করেছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাই অনিন্দিতা সর্বাধিকারি জানান, বিভিন্ন সূত্রেই তিনি খবরটি পেয়েছেন। তবে কখন ঘটনাটি ঘটেছে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও ভালো করে খবর পাননি অনিন্দিতা সর্বাধিকারি।
তিনি আরো বলেন যে, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ছোটপর্দায় অভিনয় করে আসছেন অনন্যাদি। তাঁর কথা কখনও ভোলা যাবে না। অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং শক্তিশালী অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নাম সেভাবে প্রচারে আসেনি। কিন্তু অনন্যাদি একের পর এক ভালো কাজ করে গিয়েছেন’, এমনকি ২০০৪ সালে অনিন্দিতা সর্বাধিকারি পরিচালিত ‘পরবর্তী সংবাদ দুপুর দুটোর সময়ে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি সেরা টেলিফিল্মের পুরস্কারও পায় বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে।
আরো পড়ুন: আমার পাকিস্তানে চ’লে যাওয়া উ’চি’ত, আলিয়ার মা সোনি রাজদানের ক’থা’য় ফে’র ভাইরাল
তবে পরিচালক অনিন্দিতা বলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায় – এর সাথে তাঁর আরো একটি মিল হলো তারা দুজনেই একই রাজনৈতিক মতাদর্শের লোক। তাঁরা বামপন্থী। তাতেই তাদের বন্ধুত্ব এত বাড়ে। তাই হটাৎ করেই মানুষটার চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ সে।