কাশ্মীরকে ভারতের ভুসর্গ বলা হয়। কাশ্মীর সত্যিই অসাধারণ কিন্তু সেখানের জীবন যাপন মোটেই অসাধারণ নয়। পাকিস্তান – ভারতের কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা কোনোদিনই প্রায় মিটবে না বলে মনে করেন অনেকে। বহু জওয়ানদের প্রাণ গেছে এই সমস্যার ফলে আর এখনও যাচ্ছে। আর তাই কাশ্মীর নিয়ে গোটা ভারতবাসী খুবই সংবেদনশীল। তাই কাশ্মীর নিয়ে যেকোনো মন্তব্যই অনেক ভেবে চিন্তে করে মানুষে। আর যেখানে সেলিব্রিটির প্রশ্ন সেখানেতো এরই ভেবে চিন্তে কথা বলা উচিত। কিন্তু সকলেতো অত ভেবে চিন্তে কথা বলতে পারেন না তাই অনেকেই নানা রকম বিতর্কের সন্মুখিন হয়।
সেরকমই ২০১৯ সালে আলিয়া ভাটের মা সোনি রাজদান করে ফেলেছিলেন এক বিতর্কিত মন্তব্য। তাও আবার পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে। যা নিয়ে সেই সময় খুব চর্চা হয়। আসলে তখন মুক্তি পেতে চলেছিল সোনির সিনেমা ‘নো ফাদার্স ইন কাশ্মীর’। আর সেখানেই তিনি কথা বলেন কাশ্মীর, পাকিস্তান নিয়ে। এমনকী পড়শি দেশে চলে যাওয়ার কথাও বলেন। আর এই নিয়েই শুরু হয় জনসাধারণের নানা রকম বিতর্ক।এমনকি তাকে ‘ দেশদ্রোহীর ‘ তকমাও লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সেই সময়ে নবভারত টাইমস্ – এ একটা সাক্ষাৎকারে সোনি রাজদান কথা বলতে বলতে বলেন, ‘আমি যখনই এরকম ধরনের কথা বলি আমাকে কিছু মানুষ দেশদ্রোহী বলে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আমি তো কখনও কখনও ভাবি, হ্যাঁ আমার পাকিস্তানেই চলে যাওয়া উচিত। ওখানে অন্তত আমি ভালো থাকব। ওখানে খাবারও খুব সুস্বাদু পাওয়া যায়।’
আরো পড়ুন: এক লিটারের প্যাকেটে তেল ক’ম পা’চ্ছে জনসাধারণ! সংস্থাগুলোকে ওজন নিয়ে ক’ড়া বা’র্তা কেন্দ্রের
শুধু তাই নয় তাঁকে এরকমও বলতে শোনা যায় যে, এখানে অনেক মানুষই আছে যারা আমাকে তাড়াতে পারলে বাঁচে। কত সবাইই তো বলেছে পাকিস্তানে চলে যাও। কিন্তু এরকম অনেক মানুষও আছে এখানে যারা আমার মতই ভাবনা চিন্তা করে তাই কে কি বললো না বললো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এরকম প্রায়ই ভট্ট পরিবারের সদস্য নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। বর্তমানে যথেষ্ট সফল অভিনেত্রী সোনি রাজদানের মেয়ে আলিয়া ভাটকেও ফেস করতে হয় নানা রকম মন্তব্যের।
তাছাড়া তিনি যেহেতু একজন স্টার কিড তাই সেই নিয়েও তাঁকে নানা কথা শুনতে হয়। যে সে যোগ্য নয়। তাই সম্প্রতি যখন তাঁর ছবি ‘ ব্রহ্মাস্ত্র’ কে বয়কট করার করার ডাক ওঠে তিনি রেগে যান। এবং তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি গঙ্গুবাইয়ের মতো ছবি উপহার দিয়েছি। যা হিট। তাহলে শেষ হাসি কে হাসছে? আমি অন্তত আমার পরের ছবি ফ্লপ না আসা অবধি হাসব।
আর আমাকে ভালো না লাগলে আমার ছবি দেখবেন না। এর থেকে বেশিই আর কী বা বলার আছে আমার। মানুষের নিজের বক্তব্য থাকতেই পারে। আর আশা করি আমিও আমার কাজের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে পারব আমি এই জায়গায় আসার জন্য কতটা যোগ্য।’