বাবা থাকেন ইন্দৌরে আর ছেলে থাকেন সুদূর আমেরিকায়। আমেরিকায় বসে এক লাইভ ভিডিওতে ছেলে দেখতে পায় তার বাবাকে বেধড়ক মারা হচ্ছে। ভীনদেশে বসে এরকম এক কান্ড দেখে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এ ছেলে চুপচাপ অসহায়ের মতো বসে থাকেনি।
উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমেরিকা থেকে গুগলে ইন্দৌর পুলিশের নম্বর জোগাড় করেন ছেলে। আর এভাবেই আমেরিকায় বসে পুলিশের সহায়তায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে মার খাওয়ার হাত থেকে বাবাকে বাঁচিয়েছেন তিনি।
আসল ঘটনাটি হল, ইন্দৌরের জুনি এলাকায় বসে ভদ্রলোক ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁর ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। ভদ্রলোক একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। ঠিক সেই সময় তাঁর পরিচিত একজন ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর শুরু করে। তিনি তাঁকে বাধা দিতে চাইলেও লাভ কিছু হয়নি।
আরো পড়ুন: মোটরসাইকেলের থেকেও ক’ম দা’মে কিনুন মারুতির এই চার চা’কা গাড়ি, আজই জানুন
বাবার প্রতি এহেন অত্যাচার দেখে সুদূর আমেরিকায় ছেলে চুপচাপ বসে না থেকে ইন্দৌরের থানার নম্বর জোগাড় করে ফেলেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওই ব্যবসায়ী থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেছেন। জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত স্থানীয় এক বিজেপি নেতার আত্মীয়।
উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ভদ্রলোকের নাম কৈলাশচন্দ্র পারিক, তিনি লোহামন্ডিতে পরিবহনের ব্যবসা করেন। তাঁর ছেলে অঙ্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকে। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ সেই ভদ্রলোক অফিসের বাইরে বসে ছেলের সঙ্গে ভিডিও কল করছিলেন।
আর সেই সময় চেনা একজন আসেন তাঁর অফিসে। দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছোতেই কৈলাসের ওপর চড়াও হয় ওই ব্যক্তি। শোরগোল শুনে কৈলাসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করতে আসলেও অভিযুক্ত চেয়ার তুলে মারতে যায়।
#इंदौर– ट्रांसपोर्ट कारोबारी की पिटाई,अवैध वसूली के शक में परिचित पर ही पिटाई का आरोप,वारदात के वक़्त विदेश में बेटे से वीडियो कॉल पर कर रहे थे बात,मारपीट की वारदात बेटे ने वीडियो कॉल पर देखी,पुलिस को विदेश से दी सूचना,जूनी इंदौर थाना क्षेत्र का मामला,मारपीट सीसीटीवी में कैद pic.twitter.com/L8RNURfWiE
— vikas singh Chauhan (@vikassingh218) March 19, 2022
কৈলাসকে হত্যার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। ফোনে লাইভ সব দেখছিলেন কৈলাশের ছেলে অঙ্কিত। বাবাকে লাইভে মার খেতে দেখে তিনি ইন্দোর পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে কৈলাসকে সাহায্য করতে গেলেও অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়া মাত্রই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
