গত কয়েকমাস থেকেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। সরকারি ভর্তুকি দেওয়া আটা-ময়দা কিনতে দীর্ঘ লাইন পড়ছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হূ হূ করে বাড়ছে পাকিস্তানে। মুরগির মাংসের দাম বেড়ে প্রতি কেজিতে হয়েছে ৭০০-৭৮০ টাকা।
১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বোনলেস মাংস। চাল, ডাল,শাকসবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। দুধের দাম দাঁড়িয়েছে লিটার পিছু ২১০-২২০ টাকা। নিজেদের পেট চালাতে দেশটিতে অপরাধমূলক কাজকর্মও ক্রমবর্ধমান। অনেকে যুক্ত হয়েছে চুরি,ডাকাতির মত ঘৃণ্য কাজকর্মে।
যে পাঁচটি প্রধান কারণ রয়েছে এই দুর্দশার পেছনে –
প্রথমত, IMF এর অনুমান ২০২৩-এর অর্থবর্ষে পাকিস্তানের গ্রোথ রেট হবে ০.৫ শতাংশের কাছাকাছি ।
দ্বিতীয়ত, IMF এর রিপোর্ট অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষে দেশটির বেকারত্বের হার আরও বাড়বে। ৬.২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাড়াবে ৭ শতাংশ।
তৃতীয়ত, বিশ্ব ব্যাংক বা World Bank এর অনুমান চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ০.৪ শতাংশ।
চতুর্থত, ADB বা এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক পাকিস্তানের গ্রোথ রেটের অনুমান কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করেছে।
পঞ্চমত, পাকিস্তান চিন সহ বিভিন্ন দেশের থেকে ঋণ নিয়েছে। এই ঋণ সেই দেশের সরকার যে কীকরে মেটাবে তার কোন কুল কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না।এরফলেই IMF আর কোনো ঋণ দিতে চাইছে না পাকিস্তানকে।অন্যদিকে পাকিস্তান IMF-এর কাছ থেকে ১.১ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য চেয়েছে।