কত দূরে আছে ঘূর্ণিঝড় মোচা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যেকোনো সময় হঠাৎ করেই বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। আপাতত মোচার আগমন নিয়ে বিভিন্ন কানাঘুষো চলছে। মৌসম ভবন সাম্প্রতিক যে রিপোর্ট সেখানে জানানো হয়েছে দুর্যোগের তেমন একটা আশঙ্কা নেই বাংলায়। তবুও যদি গতিপথ পরিবর্তন হয় তবে বাংলার উপর আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড় অবস্থা হতে পারে আমফান কিংবা আইলার মতন।
যদিও বাংলার মানুষদের ভয়ের কোন কারণ নেই এমনটাই আশ্বস্ত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভয় বা আতংকের কোনো কারণ নেই আগের ঘূর্ণিঝড় গুলো যেমন আমরা সামলেছি এটাও সামলাবো।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে একটা নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে আজ। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কারণে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হতে পারে।
আরো খবর: অরিজিৎকে নিয়ে মহিলার টানাটানি! ম’ঞ্চেই আ’হ’ত হলেন গায়ক, রইলো ভিডিও
ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে তবে যদি পরিবর্তন হয়, সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আছড়ে পড়বে এই ঝড়। নজর রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে সেইসঙ্গে নবান্ন থেকে সব দিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরকম কোন বিপর্যয় ঘটলে বাংলা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও ঝড়ের গতিমুখ অন্যদিকে রয়েছে তবুও সতর্ক আছে প্রশাসন। মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের জায়গায় ঘূর্ণিঝড় মোচার আশঙ্কা করছেন তিনি। তাই তড়িঘড়ি ওই এলাকা পরিবর্তন করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোট শিল্পীদের উপর এবারে পুরো দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধনধান্য স্টেডিয়ামে এবার হতে পারে এই প্রোগ্রাম। নির্দ্বিধায় রাজ্যবাসী এই প্রোগ্রামে সামিল হতে পারেন ধনধান্য স্টেডিয়ামে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম মোচা না মোকা সেটা নিয়ে আবার কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে এদিন পার্শ্ববর্তী রাজ্য মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে এদিন সিনেমার গল্প করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। দা কেরালা স্টোরি সিনেমাকে ঘিরে রীতিমতো উসমা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
