সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হায় রে! টা’কা জমানোর নে’শা, ৬০ হাজার বেতনের স’র’কা’রি স্বাস্থ্যকর্মী হলেও সা’রা’দি’ন করেন ভি’ক্ষা

ভুয়ো আইএএস আইপিএস অফিসার হয়ে এতদিন সাধারণ মানুষকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে প্রতারকদের বিরুদ্ধে। এখন আবার বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বর থেকে উদ্ধার করা হলো এক ভুয়ো ভিক্ষাজীবিকে, যিনি পেশায় একজন সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্বেও এতদিন ভিক্ষাজীবি সেজেই সাধারণ মানুষের থেকে টাকা অর্জন করেছেন! অথচ প্রতি মাসে সরকারি কোষাগার থেকে ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করেন তিনি।

তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মী। প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। তবে ভিক্ষাবৃত্তি নাকি তার নেশা। সকালে অফিসের কাজকর্ম সামলে রাত হতে না হতেই তিনি স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করতে শুরু করে দেন। শুক্রবার গভীর রাতেও বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বরে ভিক্ষা করছিলেন তিনি। বাঁকুড়া পুরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাস পরিচালনকারী সংস্থার কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকারীদের কাছে নিজেকে ভিক্ষাজীবী বলেই পরিচয় দেন বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়। সেই রাত্রে ওই সংস্থাতেই ছিলেন তিনি। তবে পরদিন সকাল হতে না হতেই হাসপাতালে যাওয়ার জন্য তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখনই তিনি সংস্থার কর্মীদের কাছে নিজের আসল পরিচয় দেন। তার আসল পরিচয় শুনে চক্ষু চড়কগাছ ওই সংস্থার কর্মচারীদের। পরে ওই ভবঘুরে সংস্থার তরফ থেকে পুলিশের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে লিখিতভাবে সবকিছু জানানো হয়।

ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানিয়েছেন তার স্বামী টাকা জমানোর পক্ষপাতী। টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে থাকেন। এমনকি স্ত্রী এবং সন্তানের ভরণপোষণের জন্য তিনি একটি পয়সাও দেন না। তার নামে দুটি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। বেতনের টাকা এবং ভিক্ষাবৃত্তির টাকা সবটাই সেই একাউন্টে জমান তিনি। তার সহকর্মীরাও জানিয়েছেন একই কথা। তারা জানাচ্ছেন বহুবার ওই ব্যক্তিকে স্টেশন চত্বরে ভিক্ষা করতে দেখেছেন তারা। এ সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তার পাল্টা প্রশ্ন, ‘চাকরিজীবী বলে কি ভিক্ষা করা যাবে না?’